________________
প্রকৃতিতে অন্যায় হলে কেউ মুক্তি পেত না। লােকে বলে তাহলে ভাল লােকের মুস্কিলে ভরা জীবন - এরকম কেন হয়? কিন্তু কেউ কাউকে মুস্কিলে ফেলতে পারে না। যে আজ মুস্কিলে পড়েছে সে জাতি তাবশ্যই পূর্বজন্মে কাউকে মুস্কিলে ফেলেছিল - সেইজন্যে এইসব তার জীবনে আসছে। কেউ নিজে যদি অন্যের জীবনে নাক না গলায় তাে তার জীবনেও কারাের নাক গলানাের ক্ষমতা নেই।
জগৎ ন্যায়স্বরূপ এই জগৎ স্বপ্ন নয়। সমগ্র জগৎ ন্যায়স্বরূপ। প্রকৃতি কখনও একবিন্দু অন্যায় করে নি। কেউ দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে, কেউ মারা যাচ্ছে - এসবই। প্রকৃতির ন্যায়বিচার। প্রকৃতি কখনাে ন্যায়ের বাইরে কিছু করেই নি। এটা আমাদেরই না বােঝার ফল যে যা খুশী বলে দিই। জীবনযাপনের কলা আমাদের জানা নেই। তাই সারাক্ষণ-ই চিন্তা। এইজন্যে যা ঘটছে তাকে ন্যায় বলুন।
| ‘যা ঘটেছে তা ন্যায়’ বলে বুঝলে সংসার-সমুদ্র পার হয়ে যাবেন। এই জগতে এক মুহূর্তের জন্যেও অন্যায় হয় না - ন্যায়ই ঘটছে। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিই মানুষকে জালে জড়ায় আর সে ভাবে একে কি করে ন্যায় বলা যায় ? এই আমি মূল কথাটা বােঝাতে চাই - প্রকৃতির ন্যায়কে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করবেন না; বুদ্ধিকে আলাদা রাখুন। বুদ্ধি সবসময় মানুষকে জালে জড়িয়ে ফেলে। একবার একথাটা বুঝে নেওয়ার পর বুদ্ধির কথা শুনবেন না। যা ঘটেছে তাই ন্যায়। মানুষের কোর্টে ভুল-ত্রুটি হতে পারে, রায়ে সােজা-উটো হতে পারে কিন্তু প্রকৃতির কোর্টে কোন অন্যায় কখনও হয় না।
ন্যায় খুঁজে খুঁজে তাে পরিশ্রান্ত হয়ে গেছেন। মানুষ ভাবে যে আমি তাে এর কোন ক্ষতি করি নি কিন্তু এ কেন আমার ক্ষতি করছে? ন্যায় খুঁজতে গিয়েই তাে এরা এত মার খাচ্ছে। সেইজন্যে ন্যায় খুঁজবেন না। ন্যায়ের খোঁজে তাে মার খেয়ে খেয়ে ক্ষত-তে জীবন ভরে গেছে; আর এরপরেও তাে ফল একই থাকে। তাহলে প্রথম থেকেই এটা বুঝে নিয়ে মেনে নেন না কেন? এগুলাে আর কিছুই নয়, শুধু অহঙ্কারের দখলদারি।
বিকল্প-এর অন্ত, মােক্ষমার্গের সূচনা বুদ্ধি যখনই বিকল্প দেখাবে তখন তাকে বলতে হবে যে যা ঘটেছে তাই ন্যায়। কেউ আপনার চেয়ে ছােট হয়েও মর্যাদা দেয় না - তখন বুদ্ধি ন্যায়
[ ৪০ ]