________________
গেলে চলবে না। সংসারের কোন কিছুই আপনার সাথে খাপ খাবে না আপনাকেই সবকিছুর সাথে খাপ খাওয়াতে হবে। তাহলেই জগৎ সুন্দর নইলে জগৎ অসুন্দর। সেইজন্যে সব জায়গায় মানিয়ে নিন।
আপনার প্রয়োজন থাকলে যদি কেউ অভদ্র, অবাধ্য-ও হয় তাহলেও তার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। স্টেশনে আপনার কুলি-র প্রয়োজন আছে আর সে পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা করছে তো সেক্ষেত্রে আপনাকে চার আনা বেশী দিয়েও ওকে রাজী করাতে হবে নতুবা মাল-পত্র আপনাকেই বইতে হবে। অভিযোগ? না, মানিয়ে নেওয়া (এড্জাস্ট)
বাড়িতেও মানিয়ে নিতে জানা চাই। আপনি সৎসঙ্গ থেকে দেরী করে বাড়ি ফিরলে আপনার স্ত্রী কি বলবেন? ‘ঘড়ির দিকেও তো খেয়াল রাখতে হয়।' অশান্তির বদলে একটু আগে বাড়ি গেলে ক্ষতি কি? এখন আপনার এরকম ভোগান্তির কারণ কি? কারণ আপনি আগের জন্মে অন্যদের প্রতি অনেক অভিযোগ এবং দোষারোপ করেছেন – এই জন্মে তার পরিনাম এসেছে। তখন আপনার হাতে ক্ষমতা ছিল তাই শুধু অভিযোগই করে গেছেন। এখন আপনার হাতে ক্ষমতা নেই বলে অভিযোগ না করে মানিয়ে নিতে হবে। অতএব এখন যোগ-বিয়োগ করে নিন। কেউ যদি গালি-ও দিয়ে যায় তা পাওনার খাতায় জমা করে নিন; অভিযোগ করবেন না।
-
বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি স্থির করে যে আমরা একে অন্যের সাথে মানিয়ে চলব তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। একজন যদি জেদ করতে থাকে তো অন্যজনকে হার মানতে হবে। মানিয়ে নিতে না পারলে সবাই পাগল হয়ে যাবে। গতজন্মে সবাইকে হয়রান করেছে বলেই পাগল হয়েছে। যে মানিয়ে নেওয়ার কৌশল শিখে নিয়েছে সে সংসার থেকে ‘মোক্ষ'-এর দিকে ঘুরে গেছে। মানিয়ে নেওয়ার নাম-ই জ্ঞান। যে মানিয়ে নিতে শিখেছে সে কিনারায় পৌঁছে গেছে।
কেউ রাতে দেরীতে শুতে যান, আবার কারোর অভ্যাস তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া - তো এদের মধ্যে সমন্বয় কি করে হবে? এরকম ভিন্ন ভিন্ন অভ্যাসের লোক যদি একই পরিবারে একসাথে থাকে তো কি হবে? ঘরে কেউ একজন আপনাকে বলতে পারে ‘আপনি নির্বোধ'; তখন আপনাকে ধরে নিতে হবে এর বলার ধরনই এইরকম। এইভাবেই আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। তা না করে যদি আপনি প্রত্যুত্তরে কিছু বলতে যান তো সংঘাত বেড়েই যাবে আর
[00]