________________
আত্মানুভব দুঃখকেও সুখে পরিবর্তিত করে আর অজ্ঞান অবস্থায় সুখেও দুঃখই অনুভূত হয়।
এটা অক্ৰম বিজ্ঞান সেইজন্যে এত তাড়াতাড়ি সমকিত হয়ে যায়-এটা খুবই উচ্চস্তরের বিজ্ঞান। আত্মা আর অনাত্মা অর্থাৎ আপনার নিজস্ব আর পরস্ব বস্তুর মধ্যে এই বিভাজন করে দিই যে এটা আপনার আর এটা আপনার নয়; মাত্র একঘন্টার মধ্যেই এই দুইয়ের ভেদরেখা টেনে দিই। আপনি নিজে পরিশ্রম করে করতে গেলে লক্ষ জন্ম পার করেও কোন রকমেই করতে পারবেন না।
আমার সাথে যার সাক্ষাৎ হয়েছে সেই অধিকারী প্রশ্নকর্তা ঃ এই মার্গ এত সহজ তাে এতে পাত্ৰতা বা যােগ্যতা দেখা হয় না? যে কেউ কি এটা পেতে পারে?
| দাদাশ্রীঃ লােকে আমাকে প্রশ্ন করে আমি কি এর যােগ্য? আমি তাকে বলি “আমার সঙ্গে তােমার দেখা হয়েছে এইজন্যে তুমি অধিকারী। এই সাক্ষাৎকারের পিছনে তাে ‘ব্যবস্থিত’-ই (সায়েন্টিফিক সার্কামস্ট্যানসিয়াল এভিডেন্স) কাজ করছে। আমার সাথে যারই সাক্ষাৎ হয় সেই অধিকারী। ওর সাথে কেন দেখা হয় ? ও অধিকারী বলেই আমার সাক্ষাৎ পায়। আমার সাথে দেখা হওয়ার পরেও যদি ওর প্রাপ্তি না হয় তাহলে ওর অন্তরায় কর্ম বাধা হয়েছে।
ক্রম-এ করতে হয় আর অক্ৰম-এ.......। একভাই একবার প্রশ্ন করেছিল যে ক্রম আর অক্রম-এর মধ্যে পার্থক্য কি? আমি বললাম, ক্রম মানে যেমন সকলে বলে যে ভুল ছেড়ে ঠিটা ধরাে। বার বার এটা বলা-এর নাম ক্রমিক মার্গ। ক্রমে-এ সব ছাড়তে বলা হয় - এই লােভ-কপট ছাড়াে আর ভাল কাজ করাে। এতদিন পর্যন্ত এই দেখেছেন না? আর এই অক্রম মানে কিছু করাই নয় - এখানে করােমি-করােসি-করােতি
নেই!
| অক্ৰমবিজ্ঞান তাে খুব বড় আশ্চর্য। এখানে আত্মজ্ঞান নেওয়ার পরদিন-ই ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তন আসে। এটা শুনেই লােকে এই বিজ্ঞান স্বীকার করে আর এখানে আসার জন্যে আকর্ষিত হয়। | অক্রম-এ ভিতর থেকেই মূল রূপে শুরু হয়। ক্রমিক মার্গে তাে শুদ্ধতাও
| [১৩]