________________
যাবে না; কারণ এতে গুনধর্ম আলাদা হয়ে যায়। তেমনি জীবের ভিতরে চেতন আর অচেতন-এর মিশ্রণ আছে, যৌগ নয়। তাই নিজের স্ব-স্বভাবে ফিরে যেতে পারে। যৌগপদার্থ হয়ে গেলে চেতন-অচেতন কারােরই গুনধর্ম বর্তমান থাকত না, আর তৃতীয় এক আলাদা গুনধর্ম উৎপন্ন হত। কিন্তু সেরকম হয় নি। চেতন-অচেতন-এর কেবল মিক্সচার হয়েছে।।
| ‘জ্ঞানীপুরুষ’ জগতের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক
‘জ্ঞানীপুরুষ' যিনি জগতের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক তিনিই কেবল আত্মাঅনাত্মাকে পৃথক করার পদ্ধতি জানেন এবং করতেও পারেন। উনি আত্মাঅনাত্মার বিভাজন করে দেন। শুধু তাই নয়, আপনার পাপসমূহকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেন, দিব্যচক্ষু প্রদান করেন আর এই জগত কি, কিভাবে চলছে, কে চালাচ্ছে প্রভৃতি স্পষ্ট করে দেন। তখনই আমাদের কার্য সম্পন্ন হয়।
কোটি জন্মের পুণ্যের ফলে জ্ঞানীর দর্শন হয়, নয় তাে দর্শন কেমন করে হবে? ‘জ্ঞান পাওয়ার জন্য জ্ঞানী-কে চেনা জরুরী; আর তান্য কোন রাস্তা নেই। যার খোঁজ আছে সে ঠিকই পেয়ে যায়।
৬. ‘জ্ঞানীপুরুষ কে?
সন্ত আর জ্ঞানীর ব্যাখ্যা। প্রশ্নকর্তা : এই যে সমস্ত সন্তপুরুষ হয়েছেন, এঁদের সাথে জ্ঞানীর পার্থক্য কোথায়?
দাদাশ্রী ও সন্তপুরুষ মন্দ কাজের থেকে দূরে সরিয়ে ভাল কাজের দিকে নিয়ে যান। যিনি মন্দ কাজ ত্যাগ করিয়ে ভাল কাজের দিকে নিয়ে যান তিনিই সন্ত। যিনি পাপ কাজ থেকে বাঁচান তিনি সন্ত আর যিনি পাপ-পুণ্য দুটো থেকেই বাঁচান তিনিই জ্ঞানীপুরুষ। সন্তপুরুষ সঠিক রাস্তায় নিয়ে যান আর জ্ঞানীপুরুষ মুক্তি দেন। জ্ঞানীপুরুষ তাে অন্তিম বিশেষণ বলা যায় যিনি আপনার কার্য সম্পন্ন করে দেবেন।
সত্যিকারের জ্ঞানী কে? যাঁর মধ্যে অহংকার আর মমতা দুটোই নেই। যাঁর আত্মার সম্পূর্ণ অনুভব হয়েছে তিনিই ‘জ্ঞানীপুরুষ। তিনি পুরাে ব্রহ্মান্ডের বর্ণন করতে সক্ষম, সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। জ্ঞানীপুরুষ' মানে পৃথিবীর এক আশ্চর্য’, ‘জ্ঞানীপুরুষ' মানে জ্বলন্ত প্রদীপ।
[ ১০ ]