________________
ভাষান্তরণ সম্পর্কে সূচনা।
জ্ঞানীপুরুষ অম্বালাল এম প্যাটেল যিনি দাদাশী, দাদাজী বা দাদা নামেই বেশী পরিচিত ছিলেন তিনি সবসময়েই বলতেন যে আত্ম-জ্ঞান প্রাপ্তির বিজ্ঞানের উপর এবং সাংসারিক ব্যবহারের কলা-র উপর দেওয়া তার সৎসঙ্গ অন্যভাষায় একদম সঠিকভাবে অনুবাদ করা অসম্ভব। ভাষান্তরনের সময় মুমুক্ষু-র কাছে যে অর্থ পৌঁছানাের যে ভাবনা থাকে তার গভীরতা সামান্য হলেও নষ্ট হয়ে যায়। তিনি তার সমস্ত উপদেশ সঠিকভাবে বােঝার জন্যে গুজরাতী ভাষা শেখার উপর জোর দিয়েছেন।
তাহলেও দাদাশ্রী তার মূল বাণীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছানাের জন্য ইংরাজী এবং অন্যান্য ভাষায় ভাষান্তরিত করার জন্যে আশীর্বাদ দিয়েছেন। জগতের সন্তপ্ত মানুষ যেন তার মধ্যে প্রকাশিত অপূর্ব ‘অক্রম-বিজ্ঞান’ দ্বারা এই জীবনেই মুক্তির স্বাদ অনুভব করে - এই তার গভীরতম ইচ্ছা এবং আকাঙ্খ ছিল। তিনি আরও বলেছেন যে এমন একদিন আসবে যেদিন সমগ্র জগৎ এই বিজ্ঞানের অলৌকিক ক্ষমতায় বিস্মিত হয়ে যাবে।
| জ্ঞানীপুরুষ দাদাশ্রী-র উপদেশের সারমর্ম জগতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এটা একটা বিনম্র প্রচেষ্টা। তার বাণীর প্রকৃত অর্থ এবং লয়-সুর বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়েছে। এটা তার বাণীর আক্ষরিক অনুবাদ নয়। অনেক ব্যক্তি এই ভাষান্তরণের জন্য অধ্যবসায়ের সাথে পরিশ্রম করেছেন। - আমরা তাদের সবার কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
তার উপদেশের বিশাল, নতুন ধন-সম্পদের এটা একটা প্রাথমিক ভূমিকা মাত্র। এই অনুবাদে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে তার জন্য অনুবাদকরাই সম্পূর্ণভাবে দায়ী-এর জন্য আমরা আপনাদের ক্ষমা প্রার্থী।