________________
সম্বন্ধে এই চিন্তা করাই পাপ। রাস্তায় চলতে গিয়ে যদি গাছে ধাক্কা লাগে তার সাথে কি ঝগড়া করো? গাছকে অচেতন কি করে বলবে? যারা ধাক্কা দেয় তারা সকলে গাছের মতই। গরুর পা যদি আমাদের পায়ে পড়ে, আমরা কি কিছু বলি? এইসব লোকেরাও তাই। “জ্ঞানীপুরুষ' সবাইকে কি ভাবে ক্ষমা করে দেন? তিনি এটাই মনে করেন যে এই বেচারারা গাছের মত, কিছু বোঝে না। আর যে বোঝে তাকে তো কিছু বলতেই হয় না, সে তো তৎক্ষণাৎ নিজের অন্তরেই প্রতিক্রমণ করে নেয়।
যেখানে আসক্তি, সেখানেই প্রতিক্রিয়া
প্রশ্নকর্তা ঃ অনেক সময়, যদিও কারোর প্রতি ঘৃণা পোষণ করার কোন ইচ্ছে আমার থাকে না, তবু এটা হয়। এর পিছনে কারণ কি?
দাদাশ্রী ঃ কার সাথে এটা হয় ?
প্রশ্নকর্তা : কখনও কখনও আমার জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে হয়। দাদাশ্রী ঃ এটা ঘৃণা নয়। যে ভালবাসা আকর্ষণ থেকে জন্মায় তা প্রতিক্রিয়ামূলক এবং বিকর্ষণের বিষয়। যদি কোন পতি বিরক্ত হয়ে যায় তাহলে পত্নী তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি কিছু সময় এই দূরত্ব বজায় রাখেন যেটা তাঁর পতিকে আবার তাঁর কাছে প্রিয় করে তোলে এবং পত্নী হলে পতির প্রতি বা পতি হলে পত্নীর প্রতি আসক্তি বাড়ে। সংঘাত বেশী হলে আঘাতও বেশী হয় এবং একে অন্যের ব্যাপারে বেশী হস্তক্ষেপ করলে তার ফলস্বরূপ পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। আবার প্রেম জন্মায় আর তারা একত্রিত হয়। যেখানে এই ধরনের ভালবাসা অত্যধিক মাত্রায় থাকে সেখানে দখলদারিও হয়। অন্তরে তারা ভালবাসা আছে বলেই দখলদার হয়। পূর্বজন্ম থেকে নিয়ে আসা এরকম অত্যধিক ভালবাসা-ই তখলদারির কারণ । আপনি যেটার কথা বলছেন তা অত্যধিক ভালবাসা, তা নইলে কি দখলদারি হত? এটাই দখলদারির বৈশিষ্ট্য।
লোকে বলে সংঘাতের কারণে তাদের ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। একথা সত্যি, এই আসক্তি সংঘাত থেকে উৎপন্ন হয়। যেখানে সংঘর্ষ কম সেখানে আকর্ষণও কম। কোন বাড়ীতে যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরিমিত ঝগড়া হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তাদের আকর্ষণ-ও পরিমিত। এটা বুঝলেন কি?
[ 25 ]