________________
‘ন্যায়স্বরূপ’ - নিজের হিসাব
প্রশ্নকর্তা : যদি আমরা সবরকম ভাবে বিবাদ এড়ানোর চেষ্টা করে কোন সমস্যা সমতার সাথে ধীরভাবে মিটিয়ে নিতে চাই তবুও যদি অপরপক্ষ আমাদের অপমান করে আর প্ররোচিত করে? তখন আমরা কি করব?
দাদাশ্রী ঃ কিছু না । এটা আমাদের নিজেদের ‘হিসাব’ তাই আমাদেরকেই এটা সমভাবে মিটিয়ে নিতে হবে। নিয়মের মধ্যে থেকে আমাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেদের করতে হবে।
প্রশ্নকর্তা ঃ সংঘাত কি ব্যবস্থিত-এর কারনে হয় ?
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, সংঘাত ব্যবস্থিত-এর কারণেই হয়। কিন্তু সেকথা আপনি কখন বলতে পারেন? বাদ-বিবাদ হয়ে যাওয়ার পরেই শুধু আমরা তা বলতে পারি। আপনি নিশ্চয় করবেন যে, ‘আমি কারোর সাথে সংঘাতে জড়াতে চাই না।' যদি আমরা সামনে কোন স্তম্ভ দেখি তাহলে আমরা সেটাকে পাশ কাটিয়ে যাব, তাতে ধাক্কা মেরেযাব না। তা সত্ত্বেও যদি ওই স্তম্ভে আমরা ধাক্কা খাই শুধু তাহলেই আমরা বলতে পারি যে এটা ব্যবস্থিত। কিন্তু যদি আমরা প্রথমেই ব্যবস্থিত-এর অজুহাত দিই তাহলে ব্যবস্থিত-এর জ্ঞান-এর অপব্যবহার করা
হয়।
সংঘাত আধ্যাত্মিক ক্ষমতা কমায় :
যদি কোন জিনিস আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেয় তাহলে সেটা সংঘাত ৷ যদি আপনি কোন ঝগড়ায় জড়িযে পড়েন তাহলে শেষ হয়ে যাবেন। আপনাকে কেউ প্ররোচিত করার চেষ্টা করলেও আপনাকে সংযত থাকতে হবে। কোনরকম সংঘাত হওয়া উচিৎ নয়। যে কোন মূল্যে এমনকি আপনার নিজের জীবনের বিনিময়েও সংঘাত এড়াতে হবে। বিন্দুমাত্র সংঘাত না হলে তবেই কেউ মুক্তি পেতে পারে। যদি কেউ এইটুকু শিখতে পারে যে “আমি সংঘাতে যাব না' তাহলে তার গুরু বা অন্য কাউকে প্রয়োজন হবে না। এক বা দুই জীবনেই সরাসরি মোক্ষ-এ যেতে পারবে। যখন কেউ অন্যের সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর দৃঢ় নিশ্চয় করে এবং তা মেনে চলে সেখান থেকেই বিশুদ্ধ আস্থা (সতি)-র সূচনা হয়। অর্থাৎ যদি কেউ সতি লাভ করতে চায় তাকে আমি গ্যারান্টী দিয়ে বলছি যাও, সংঘাত না করার দৃঢ় নিশ্চয়
[[ ১৮ ]