________________
দাদাশ্রী ঃ যখন এটা পড়ছে তখন আপনাদের উচিৎ সেটার থেকে সরে
যাওয়া।
প্রশ্নকর্তা ঃ যতভাবেই আমরা এড়াতে চেষ্টা করি না কেন এটা তবুও আমাদের আঘাত করে। উদাহরণ হিসাবে আমার স্ত্রীর কথা ধরুন। দাদাশ্রী : সংঘর্ষের সময় আপনাকে সমাধান খুঁজতে হবে। প্রশ্নকর্তা ঃ কেউ অপমান করলে আমরা যে অপমানিত বোধ করি, সেটা কি আমাদের অহংকারের জন্যে?
দাদাশ্রী ঃ বাস্তব সত্য এই যে কেউ যখন অপমান করে তখন সে আমাদের অহংকার বিনষ্ট করে দেয়, তাও ‘ড্রামাটিক’ অহংকার, যা অতিরিক্ত অহংকার আছে তাকেই নষ্ট করে। তাতে আমাদের ক্ষতি কি? এই কর্ম তো মুক্তি দেয় না। আমাদের উচিৎ ছোট বাচ্চাও যদি সামনে থাকে সেখানেও বলা ‘এবারে মুক্তি দাও ৷'
সমুদ্রের মতনিজের অন্তরে সবকিছু সমাহিত রাখুন :
প্রশ্নকর্তা ঃ দাদা, ব্যবহারে ভিউপয়েন্ট-এর সংঘাতে বড়রা ছোটদের ভুল দেখে, ছোটরা আবার আরও ছোটদের ভুল দেখে, এমন কেন হয় ? দাদাশ্রী ঃ বড় যেমন ছোটকে খেয়ে ফেলে তেমনি বড়রা ছোটদের ভুল দেখে, এইরকম। তার পরিবর্তে আপনি বলুন ‘ভুল আমারই।' ভুলকে স্বীকার করে নিলে তবেই সমাধান সম্ভব। ‘আমি’ কি করি, অন্য কেউ যদি সহ্য করতে অসমর্থ হয় তবে ‘আমি' তা নিজের উপর নিয়ে নি, অন্যের ভুল দেখাই না । অন্যকে কেন দোষ দেব? আমাদের অন্তঃকরণ সমুদ্রের মত বিশাল। এই দেখো না, বোম্বাইয়ের সমস্ত নর্দমার জল সমুদ্র নিজের অন্তরে গ্রহণ করে। আপনি ও সেরকমই করুন। তাতে কি হবে, এই বাচ্চারা আর সমস্ত লোকের উপর তার প্রভাব পড়বে। তারাও শিখবে। বাচ্চারাও বোঝে এর অন্তর সমুদ্রের মত বিশাল। যা আসবে সব জমা করে নাও। ব্যবহারে এইরকমই নিয়ম, যে অপমান করে সে নিজের শক্তি আমাদের দিয়ে যায়। সুতরাং অপমানকে হাসিমুখে স্বীকার করো!
[ ১৭ ]