________________
সাপ, বিছে, বলদ বা গােরু যাই হােক না কেন আপনার প্রতি তার শত্রুতা থাকবে। কারণ আত্মা সমস্ত জীবের মধ্যে আছেন এবং সবার মধ্যে আত্মার শক্তি এক সমান। এমন কোন জীব যার সাথে আপনি সংঘাতে জড়িয়েছেন সে আপনার চেয়ে দুর্বল হলে সেই সময় কষ্ট সহ্য করে নেবে কিন্তু মনের মধ্যে আপনার জন্যে শত্রুতা রাখবে। এই শত্রুতাই প্রতিহিংসার বীজ বুনবে যা আপনার পরবর্তী জীবনে ফলদায়ী হবে। | কোন ব্যাক্তি যদি খুব কথা বলেন তার কথা যেন আপনার মধ্যে সংঘাতের ইন্ধন না জোগায়। এই নীতি মেনে চলাই আপনার ধর্ম। হ্যা, নিশ্চয়ই শব্দ সবরকমের হতে পারে। কিন্তু এমন নয় যে কথাগুলাে শর্ত রেখে আসছে যে। তারা সংঘাত তৈরী করবে। মানুষের স্বভাবই হচ্ছে একে অন্যের সাথে সবসময় সংঘাতে জড়ানাে। নিজের অহংকার-কে তৃপ্ত করতে কথার মাধ্যমে অন্যকে বিরক্ত করাটাই সব থেকে বড় অপরাধ। যদি অন্য কেউ এরকম কথা উচ্চারন করে তাহলে সেটা পাশে ঠেলে দিয়ে ভুলে যাওয়াই ভাল। যে এরকম করতে পারে তাকেই মানুষ বলা যায়।
সহ্য করবেন না, সমাধান খুঁজুন। প্রশ্নকর্তাঃ দাদা, আপনি যখন বলেন যে আমাদের সংঘাত অবশ্য এড়ানাে উচিৎ, তাহলে তার মানে কি আমাদের সহ্য করা অভ্যাস করতে হবে?
দাদাশ্রী ও ব্যক্তি নিজে শুদ্ধাত্মা এবং প্রকৃতি (সহজাত গুন-ধর্ম) তার আপেক্ষিক সত্ত্বা। তার প্রকৃতিই আপনার পূর্বকর্মের ফল দিচ্ছে। আপনি শুদ্ধাত্মা এবং সে-ও তাই। আপনার প্রকৃতি এবং তার প্রকৃতি একে অন্যের হিসাব শােধ করছে। কর্মের অনুযায়ী কোন ব্যক্তি আপনাকে আঘাত দিচ্ছে বলে তখন বুঝতে হবে। তাই আমি বলেছি যে এ হল নিজের কর্মের উদয় আর সামনের জন নিমিত্তমাত্র। তা ফিরে পেয়েছেন সুতরাং আপনার হিসাব শােধ হয়ে গেছে। এই ‘সলুশন’ হয়ে গেলে আর তাে সহ্য করার কিছুই থাকে না !
এই কথাটা পরিস্কার না বুঝে যদি আপনি সহ্য করতে থাকেন তাে কি হবে? একদিন ওই স্পিংটা লাফিয়ে উঠবে। আপনি কি কোন স্প্রিংকে লাফিয়ে উঠতে দেখেছেন? আমার স্প্রিং প্রায়ই লাফিয়ে উঠতাে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে সহ্য করতাম তারপরে সেটা লাফিয়ে উঠতাে। তখন আমি রেগে যেতাম
| [১০]