________________
আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির বর্তমান সূত্র
‘আমি নিজে কয়েকজনকে সিদ্ধি (বিশেষ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা) প্রদান করে যাব। আমি চলে যাওয়ার পরে তাদের কি প্রয়ােজন থাকবে না? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও এই মার্গের প্রয়ােজন আছে, নয় কি?
--দাদাশ্রী পরমপূজ্য দাদাশ্রী শহর থেকে শহরে, দেশ-দেশান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। সৎসঙ্গ করার জন্য আর যারা তার কাছে আসত তাদের আত্মজ্ঞান প্রদান করতেন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ সাংসারিক ব্যবহারের শিক্ষাদান করতেন। ১৯৮৭ সালের শেষ দিকে তার জীবনের অন্তিম দিনগুলিতে তিনি ডাঃ নীরুবেন অমিনকে তাঁর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সিদ্ধি প্রদান করেন।
১৯৮৮ সালের ২রা জানুয়ারি পরমপূজ্য দাদাশ্রীর দেহবিলয়ের পর ডাঃ নীরুবেন তার কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেন ভারতবর্ষের শহরে-গ্রামে এবং বিদেশে পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ পরিভ্রমণ করে। তিনিই ছিলেন দাদাশ্রীর অক্রমবিজ্ঞানের প্রতিনিধি। ২০০৬ সালের ১৯শে মার্চ তার দেহবিলয়ের সময় তিনি দাদাশ্রীর সমস্ত কাজ শ্রী দীপকভাই দেশাই-কে দিয়ে যান। বর্তমান সময়ে অক্রমবিজ্ঞানকে আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির সরল এবং প্রত্যক্ষ মার্গ হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনিই প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। হাজার-হাজার মুমুক্ষু এর সুযােগ নিয়ে সাংসারিক। দায়-দায়িত্ব পালন করতে করতেও আত্মানুভবে স্থিত হয়েছে। তাদের দৈনন্দিন সংসারিক জীবনেও তারা মুক্তির সুখ অনুভব করেছে। পূজ্য নীরুবেন অমিনএর উপস্থিতিতে জ্ঞানীপুরুষ দাদাশ্রী তার অক্রম-বিজ্ঞানের সৎসঙ্গ করার জন্য শ্রী দীপকভাইকে সিদ্ধি প্রদান করেন। তিনি দাদাশ্রীর নির্দেশ মত এবং ডাঃ নীরুবেন আমিনের তত্ত্বাবধানে ১৯৮৮ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে সৎসঙ্গ করেছেন। এখন আত্মজ্ঞানী শ্রী দীপকভাই দেশাই-এর মাধ্যমে অক্রমবিজ্ঞানের জ্ঞানবিধি এবং সৎসঙ্গ পুরােদমে প্রসারিত হয়ে চলেছে।
শাস্ত্রের প্রভাবশালী বাণী মুমুক্ষুর মুক্তির ইচ্ছা জাগিয়ে তােলে এবং পথনির্দেশ করে। সমস্ত মুমুক্ষুর অন্তিম লক্ষ্য আত্মজ্ঞান প্রাপ্তি। আত্মজ্ঞান ছাড়া মুক্তি অসম্ভব। আত্মজ্ঞান বইতে থাকে না; তা জ্ঞানীর হৃদয়ে অবস্থিত। কেবলমাত্র জ্ঞানীর সাক্ষাতেই আত্মজ্ঞান লাভ করা সম্ভব। দেহধারী আদ্মজ্ঞানীর সাক্ষাৎ পেলে আজকের দিনেও অক্রমবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক প্রয়ােগ দ্বারা কেউ। আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারে। একটা জ্বলন্ত প্রদীপ-ই পারে অন্য প্রদীপকে জ্বালাতে!