________________
চার।
আধ্যাত্মিক দর্শন বিষয়ে আর্যদের বিচার ও চিন্তাধারা এবং বিভিন্ন জাতির অনাৰ্য্যদের মধ্যে প্রচলিত নানা বিচার ও চিন্তাধারার ঘাত-প্রতিঘাতে, এখন হইতে তিন হাজার বছর পূর্বেই, আৰ্যভাষা-ভাষী এই নবীন মিশ্র ভারতীয় জাতির মধ্যে নানা প্রকারের দার্শনিক মতবাদের উদ্ভব হইল।. ব্রাহ্মণ্য অর্থাৎ আৰ্য-প্রধান বৈদিক মতবাদ, যাহার সহিত ধীরে-ধীরে কতকগুলি প্রাগ-আৰ্য্য চিন্তা ও অনুষ্ঠান সম্মিলিত হইয়া গেল, এইসমস্ত মতবাদের মধ্যে একটী বিশিষ্টতা লাভ করিল—একই মিশ্র সভ্যতার ছায়ায় ক্রমবর্ধমান প্রাচীন ভারতের জনগণের মধ্যে এই ব্রাহ্মণ্য চিন্তারই মুখ্য স্থান হইল। ব্রাহ্মণ্য চিন্তার উদ্ভবের প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই জৈন চিন্তাধারার-ও বিকাশ হইল ; জৈনমতাবলম্বীদের মধ্যে প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে, বাসুদেব বাষ্ণেয় কৃষ্ণের পিতৃব্যপুত্র অরিষ্টনেমি বা নেমিনাথ ছিলেন অন্যতম জিন বা তীর্থঙ্কর অর্থাৎ জৈনমতের স্থাপয়িতা, এবং নেমিনাথের শিষ্যপরম্পরায় আমরা পাই আর দুই তীর্থঙ্করকে পার্শ্বনাথ, ও মহাবীর বর্ধমান, যিনি বুদ্ধের সমকালীন ছিলেন। বৌদ্ধ মতবাদ খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ-পঞ্চম শতকে প্রতিষ্ঠিত হইল। এই ভাবে, অর্বাচীন নাম “হিন্দু” যাহাদের সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইতে পারে, এরূপ প্রাচীন ভারতের আৰ্যভাষী মিশ্র জনগণের মধ্যে, তিন প্রকারের মুখ্য ধর্মমত ও ধর্মানুষ্ঠান নিজ নিজ স্থান করিয়া লয়-ব্রাহ্মণ্য, জৈন ও বৌদ্ধ। আরও কতকগুলি দার্শনিক মতবাদের বা সম্প্রদায়ের এবং এইসব বিভিন্ন মতের প্রচারক নানা গুরুর বা উপদেশকের নাম ও পরিচয় ব্রাহ্মণ্য, জৈন ও বৌদ্ধ সাহিত্যে পাওয়া যায়—যেমন আজীবিক, লােকায়ত বা চার্বাক, দণ্ডহস্ত প্রভৃতি। এগুলি এখন অবলুপ্ত,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org