________________
সূত্রের মধ্যে চতুর্থ “আয়ারদসাও ( = আচারদশকাঃ)” অথবা “দশাতস্কন্ধ” গ্রন্থের অষ্টম পরিচ্ছেদ, এবং এই “আয়ারদসাও”, খ্রষ্ট-পূর্ব চতুর্থ শতকে বিদ্যমান জৈনাচাৰ্য ভদ্রবাহুর রচিত বলিয়া স্বীকৃত। এইজন্য এই শাস্ত্রকে “ভদ্রবাহু-বিরচিত কল্পসূত্র” বলা হয়। | প্রস্তুত গ্রন্থের “অবতরণিকা”তে জৈন আগম তথা ভদ্রবাহু ও তাহার কৃতি এই গ্রন্থ সম্বন্ধে পূর্ণ আলােচনা পাওয়া যাইবে। মহাবীর স্বামী-প্রমুখ জৈন সম্প্রদায়ের কতকগুলি মহাপুরুষের চরিত-কথা লইয়া এই “ভদ্রবাহু-রচিত কল্পসূত্র।” | শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক শ্রীযুক্ত বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয়, আবশ্যক ভূমিকা, শব্দসূচী ও টীকাটিপ্পনী যােজনা করিয়া অর্ধমাগধী প্রাকৃতে রচিত এই মূল “কল্পসূত্র” বঙ্গানুবাদের সহিত প্রকাশিত করিলেন। বঙ্গীয় বাত্ময়ের ইতিহাসে, বঙ্গভাষায় প্রাচীন - ভারত - বিদ্যা অনুশীলনের ইতিহাসে, এই প্রকাশনকে আমি একটা লক্ষণীয় ঘটনা বলিয়া মনে করি। এবং ইহার জন্য, এ যুগে বঙ্গভাষী জনগণের মানসিক সংস্কৃতির মুখ্য পরিপােষক বিধায়, পুস্তকের প্রকাশক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বাঙ্গালী জাতির তথা জৈন সমাজের নিকট হইতে অভিনন্দন ও সাধুবাদ পাইবার মত কাৰ্য্য করিয়াছেন বলিয়া মনে করি। প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক স্বর্গীয় প্রফুল্লচন্দ্র ঘােষ মহাশয়, ছাত্রাবস্থায় যাঁহার শিষ্যত্ব লাভের সৌভাগ্য আমার হইয়াছিল, পিতা স্বামধন্য স্বর্গীয় ঈশানচন্দ্র ঘােষ মহাশয়ের স্মৃতি-রক্ষাৰ্থ ও বাঙ্গালা সাহিত্যের পােষণাৰ্থ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট ১৯৩৫ সালে “ঈশানচন্দ্র ঘােষ ফণ্ড” নামে ৪০,০০০ টাকার একটা নিধি
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org