________________
সামাচারী পর্যষণা কল্প [ রাত্নিককে ] ক্ষমা করিবে এবং জ্যেষ্ঠও শিষ্যকে ক্ষমা করিবে। ক্ষমা করা চাই, ক্ষমা করান চাই, শান্ত হওয়া চাই, শান্ত করা চাই। বেশি বেশি করিয়া প্রীতিকর কুশলপ্রশ্ন জিজ্ঞাসাদি করা চাই। যে শান্ত হয় তাহারই হয় আরাধনা। যে শান্ত না হয় তাহার আরাধনা হয় না। সেইজন্য নিজে নিজে স্বচেষ্টায় শান্ত হইবে। এ কথা কেন বলা হইয়াছে ? ভদন্ত! শান্তিই শ্রমণ্যের সার ॥ ৫৯
বর্ষাবাসপর্যষণরত নিগ্রন্থ ও নিগ্র স্থীদের প্রত্যেকের তিনটি করিয়া উপায় (বা আশ্রয়গৃহ) থাকা চাই। সেইগুলিতে ঘন ঘন পর্যবেক্ষণ করিতে হইবে এবং ঘন ঘন প্রমার্জনা করিতে হইবে। ৬০।
বর্ষাবাসপষুষণরত নিগ্রন্থ বা নিগ্রন্থী যখন আহার্য ও পানীয়ের অন্বেষণে নিক্রান্ত হইবেন তখন তাহারা যে দিকে বা যে বিদিকে যাইবেন তাহা জানাইয়া জানাইয়া যাইতে হইবে। এ কথা কেন বলা হইয়াছে ? ভদন্ত !—ভগবান্ শ্রমণের বর্ষাকালে প্রায়ই তপস্যায় প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন। তপস্বী দুর্বল ও ক্লান্ত হইয়া যদি পথে মুচ্ছিত বা ভূপতিত হইয়া পড়েন, তবে (যে দিক বা বিদিকের কথা তাহারা বলিয়া গিয়াছেন। সেই দিক বা বিদিকে অন্য শ্রমণের সর্বদা লক্ষ্য রাখিয়া থাকেন। ৬১। | বর্ষাবাসপষণে রত নিগ্রন্থ বা নিগ্রহী চারি বা পাঁচ যােজন পথ যাইতে এবং যাইয়া ফিরিয়া আসিতে পারে। মধ্যবর্তী স্থানে অর্থাৎ মধ্য পথে তাহারা কিছুক্ষণ বাস করিতে পারে, কিন্তু সেইখানে সেই রাত্রি কাটাইয়া দিতে পারে না। ৬২। | এই সংবৎসরীয় স্থবির-কল্প সূত্রানুসারে, বিধানানুসারে, সৎপথ অনুসরণ করিয়া, প্রকৃত তথ্য মানিয়া, নিজ দেহের দ্বারা সম্যক্ অনুষ্ঠান করিয়া, সম্যক্ পালন করিয়া, শােভন ভাবে অনুষ্ঠানাদি সাজাইয়া, সম্পূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করিয়া, ধর্মের গুণগান কীৰ্ত্তন করিয়া এবং শাস্ত্ৰাদেশ অনুসারে সমস্ত বিধি পালন করিয়া আচার্যগণ, শ্রমণগণ
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org