________________
সামাচারী পর্যু ষণা কল্প
২৯৯
( কুয়াসা ), করকা ( শিলা ) এবং হরতনু ( ভূমি পৃষ্ট তৃণাদি ও যবাঙ্কুরের অগ্রভাগে লগ্ন আর্দ্রতা)। অপরিণতবুদ্ধি নির্গ্রন্থ ও নিগ্রন্থীর সর্বদা এইসব জানা চাই, দেখা চাই, এবং মানসপটে অঙ্কিত করিয়া রাখা চাই । এই হইল সূক্ষ্ম আর্দ্রতার কথা ॥ ৪৫ ৷
বর্ষাবাস পর্যুষণে রত ভিক্ষুর যদি আহার ও পানীয়ের জন্য ভিক্ষার্থ গৃহস্থগৃহে যাইবার ইচ্ছা হয় তবে তাহার আচার্য, উপাধ্যায়, স্থবির, প্রবর্তক, গণী, গণধর, গণাবচ্ছেদক অথবা অন্য যে-কেহ তাহার প্রধান রূপে অধিষ্ঠিত থাকেন তাঁহাকে না বলিয়া সে ভিক্ষার্থ বাহির হইতে পারিবে না। তাহার আচার্য, উপাধ্যায়, স্থবির, প্রবর্তক, গণী, গণধর, গণাবচ্ছেদক বা যে-কেহ তাহার প্রধান রূপে অধিষ্ঠিত থাকেন তাঁহার নিকট তাহাকে বলিতে হইবে : “আপনার অনুমতি পাইলে আমি ভিক্ষার্থ গৃহস্থগৃহে যাইতে ইচ্ছা করি।” তিনি যদি অনুমোদন ( বিতরণ ) করেন, তবে সে গৃহস্থগৃহে ভিক্ষার্থ যাইতে পারিবে। এইরূপ তিনি যদি অনুমোদন না করেন, তবে সে ভিক্ষার্থ গৃহস্থগৃহে যাইতে পারিবে না । এ কথা কেন বলা হইয়াছে ? ভদন্ত !—–আচার্যেরাই অপায় ও তাহার প্রতিকারের উপায় জানেন ৷৷ ৪৬ ৷৷
বিহার ভূমি ( বিদ্যায়তন) বা বিচারভূমি ( মলত্যাগাদি প্রয়োজনে বিচরণস্থান ) বা অন্য কোনও প্রয়োজনের জন্যও অনুরূপ ব্যবস্থা ( অর্থাৎ অনুমতি লইতে হইবে )। গ্রামে গ্রামে পর্যটনের জন্যও অভিন্ন ব্যবস্থা ৷ ৪৭ ॥
বর্ষাবাস-পযুষণে রত ভিক্ষুর যদি কোনও নুতন ঔষধ ইচ্ছা হয়, তবে তাহার আচার্য, উপাধ্যায়, স্থবির, প্রবর্তক, গণী, গণধর, গণাবচ্ছেদক বা যে-কেহ তাহার প্রধানরূপে অধিষ্ঠিত থাকেন, তাঁহার অনুমতি না লইয়া সে কোনও নুতন ঔষধ ব্যবহার করিতে পারিবে ন! ৷ তাহার আচার্য, উপাধ্যায়, স্থবির, প্রবর্তক, গণী, গণধর,
,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
,
www.jainelibrary.org