________________
২০
প্রকাণ্ড গ্রন্থ। জৈন আগম ও জৈন ধর্মাবলম্বীর জ্ঞাতব্য বিষয় সমস্তই এই দুই গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণিত আছে। নন্দী (শুভ পূর্বাভাষ ) গ্ৰন্থখানি জৈন প্রবাদ অনুসারে দেবর্ধিগণী ক্ষমাশ্ৰমণ-প্রণীত। বােম্বাই আগমােদয় গ্রন্থমালায় ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দে এ গ্রন্থ মুদ্রিত হইয়াছে । “নন্দীসূত্র, শ্ৰীম-মলয়-গির্যাচার্যপ্রণীত-বৃত্তি-যুতং শ্রীমদ্ দেব-বাচক-ক্ষমাশ্ৰমণ নির্মিতম্।” ঐ আগমােদয় গ্রন্থমালায় ‘অনুযােগদ্বার’ও ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দে মুদ্রিত হইয়াছে : “অনুযােগধারাণি হেমচন্দ্র সূরি নির্মিত-বৃত্তিযুতানি।” নন্দীর আরম্ভে মহাবীর স্বামীর স্তোত্র ও তৎপরে চতুর্বিংশতি তীর্থকর, একাদশ গণধর, পরে থেরাবলী (দেবর্ধিগুরু ‘দূসগণী’ পর্যন্ত) আছে। এই দুইখানি গ্রন্থকে জৈন বিশ্বকোষ বলা যায়। জৈন ধর্ম ছাড়াও অনেক বিষয় এই দুই গ্রন্থে সন্নিবেশিত আছে। মিথ্যাঞতম্ ( মিচ্ছাসুঅং, পরধর্ম ), লৌকিক ( লােইএ) জ্ঞান - বিজ্ঞান, মহাভারত (ভারহ ), রামায়ণ প্রভৃতির বিবরণ উভয় গ্রন্থেই আছে। তাছাড়া কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র (কোডিল্লং), বাৎস্যায়নের পূর্বাচার্য ঘােটকমুখের কামসূত্র (ঘােড়য়মুহং), বৈশেষিকদর্শন। (বইসেসিয়ং), বুদ্ধশাসন, কপিলের দর্শন (কাবিলং ), পুরাণ, পাতঞ্জলশাস্ত্র (পাঅংজলি), গণিতশাস্ত্র (গণিঅং), ভাগবতপুরাণ (ভাগবয়ং), নাটক (নাড়য়াই) এবং সাঙ্গোপাঙ্গ বেদচতুষ্টয়ের কথা আছে। ইহা ছাড়া আছে কাব্যরস, আদিরস, ব্যাকরণ, সমাস, কাল-বিভাগ ইত্যাদি।
মূলসূত্র চতুষ্টয় ঃ মূলসূত্র চতুষ্টয় মধ্যে উত্তরজঝয়ণ বা উত্তরাধ্যয়নসূত্রই প্রধান। ৩৬ অধ্যায়ে এই বিরাট গ্রন্থ বিভক্ত। কর্ম, পাপ,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org