________________
জিনচরিত্র
১৫৯
সহস্ৰ সহস্ৰ অঙ্গুলিমালা তাঁহার দিকে নির্দেশ করিতে লাগিল ৷ বহু সহস্র নরনারীর সহস্ৰ সহস্ৰ অঞ্জলিমালা তিনি দক্ষিণ হস্তে প্রতিনন্দিত করিতে করিতে চলিলেন। সহস্র সহস্র ভবন পংক্তি অতিক্রম করিয়া চলিলেন। তন্ত্রী (বীণা) করতাল, তূর্য, ঘনমৃদঙ্গ প্রভৃতি সহযোগে গীতবাদ্য হইতে লাগিল। তাহার সঙ্গে মধুর ও মনোহর জয়ধ্বনি মিশিতে লাগিল । সেই মঞ্জু মধুর জয়ধ্বনিতে [ নগরবাসিগণ ] প্রতিবোধিত হইতে লাগিল ৷ বিপুল ঐশ্বর্যের উপযোগী জাঁক-জমকসহকারে, সব বল, বাহন, লোকজন ও অনুচরবর্গ লইয়া, সব আদর, বিভূতি, ভূষণ, সম্ভ্রম, সংযোগ, প্রগতি, নট-নটী, তালাচর এবং সমস্ত অবরোধ ( অন্তঃপুর ), সমস্ত পুষ্পমাল্য, অলঙ্কার, ভূষণাদিসহ ঢাক-ঢোল বাদ্যনিনাদে নগর মুখরিত করিয়া চলিতে লাগিলেন । সেইসব জাঁকজমক বলবাহন লোকজন তূর্য যমক-সমগ-বাদ্য ও শঙ্খ, পণব, পটহ, ভেরী, ঝল্লরী, খরমুখী, দুন্দুভি প্রভৃতির নির্ঘোষ ও নিনাদে ও লোকের কোলাহলে নগরী মুখরিত হইয়া উঠিল ৷
অবরোহণ করিয়া
খুলিয়া ফেলিয়া
দ্বারাবতী নগরীর মধ্য দিয়া তিনি নগরীর বাহিরে নিষ্ক্রান্ত হইলেন ৷ নির্গত হইয়া রেবতিকা নামক উদ্যানে শ্ৰেষ্ঠ অশোকপাদপের নীচে শিবিকা স্থাপন করাইলেন ৷ শিবিকা স্থাপন করাইয়া শিবিকা হইতে অবরোহণ করিলেন । স্বয়ং আভরণ মাল্যালঙ্কারাদি খুলিয়া ফেলিলেন। স্বয়ং পাচ মুষ্টিতে মাথার সব কেশ উৎপাটন করিয়া ফেলিলেন। তারপর প্রতি তৃতীয় দিবসে একবারমাত্র পানীয়-বিহীন আহার গ্রহণের ব্রত লইয়া চিত্রা নক্ষত্রের [ সহিত চন্দ্রের ] যোগে একখানি মাত্র দেবদৃষ্য ( বস্ত্ৰ ) লইয়া এক সহস্র পুরুষসহ মুণ্ডিত হইয়া আগার ( গৃহবাস) ত্যাগ করিয়৷ অনাগারিত্ব প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিলেন ।
১৭৩ ॥
অর্হৎ অরিষ্টনেমি চুয়ান্ন রাত্রিদিন ধরিয়া সর্বক্ষণের জন্য খোলা
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org