________________
১৩৭
জিনচরিত্র উঠিয়া অত্বরিত, অচপল, অবিহ্বল, অবিলম্বিত, রাজহংস-সদৃশ গতিতে যেখানে তাহার নিজের শয্যা সেইখানে উপস্থিত হইলেন। হইয়া এইরূপ বলিলেন। “ঘুমাইয়া পড়িলে যেন ] অন্য পাপ স্বপ্ন [ দেখা দিয়া ] আমার এই সর্বোত্তম, সর্বপ্রধান, মঙ্গলার স্বপ্নগুলির ফল নষ্ট করিয়া না দেয়” এই বলিয়া জাগিয়া জাগিয়া বিহার করিতে লাগিলেন। তারপর অশ্বসেন রাজা প্রত্যুষকাল সময়ে কুটুম্বপুরুষগণকে ডাকিলেন। ডাকিয়া এই কথা বলিলেন। “ভো দেবানুপ্রিয়গণ ! আজ বিশেষভাবে ও সত্বরতার সহিত বাহির উপস্থান-শালায় গন্ধোদক সেচন, সম্মার্জন ও উপলেপনাদি দ্বারা শুচি কর ও করাও। পঞ্চবর্ণ সুগন্ধি পুষ্প দ্বারা শশাভিত কর ও করাও। কালাগুরু, কুন্দুরুক, তুরুক প্রভৃতি গন্ধদ্রব্য জ্বালাইয়া ধূপ-গন্ধি ধূমাদি দ্বারা ঘর সুগন্ধে মহ-মহ করিয়া তােল•• যাবৎ আদেশ-প্রতিপালন-সংবাদ জ্ঞাপন কর। তারপর অশ্বসেন রাজা কর্তৃক এইরূপে আদিষ্ট হইয়া কুটুম্বপুরুষগণ হৃষ্ট-তুষ্ট•••করতলে বদ্ধ অঞ্জলির দশনখ মাথায় ঠেকাইয়া “যে আজ্ঞা, স্বামি!” বলিয়া বিনয় বচনে আজ্ঞাপালন অঙ্গীকার করিল। করিয়া অশ্বসেন রাজার নিকট হইতে নিক্রান্ত হইল। হইয়া যেখানে বাহির উপস্থানশালা সেইখানে উপস্থিত হইল। হইয়া অতি শীঘ্র সবিশেষ••••• যাবৎ সিংহাসন রচনা করাইল। করাইয়া যেখানে অশ্বসেন রাজা সেইখানে উপস্থিত হইল। হইয়া••••••করতলে বদ্ধ অঞ্জলির দশ নখ মাথায় ঠেকাইয়া রাজা অশ্বসেনের নিকট তাহার আদেশ-প্রতিপালন-সংবাদ জ্ঞাপন করিল। তারপর পরদিন রজনী প্রভাত হইলে অর্ধোজ্জল প্রভাতে উৎপল ও কোমল কমল প্রস্ফুটিত হইলে:•••••রাজা অশ্বসেন••••••্যাবৎ শয্যা হইতে উঠিলেন। উঠিয়া পাদপীঠ হইতে ' অবরােহণ করিলেন। করিয়া যেদিকে অট্টনশালা সেইদিকে চলিলেন। চলিয়া অট্টনশালায় প্রবেশ করিলেন। করিয়া অনেক রকম ব্যায়াম-যােগ্য লক্ষন, ব্যামর্দন, মল্লযুদ্ধাদি করিয়া••••••্যাবৎ অট্টনশালা হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। হইয়া যেদিকে মার্জনগৃহ••••••যাবৎ মার্জনগৃহ হইতে বাহির হইলেন। হইয়া
|
p. P. 93–18.
..
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org