________________
জিনচরিত্র
,
(অর্থাৎ বলবর্ধন-) কর্মে অভ্যস্ত ও এইসকল কর্মের ফলাভিজ্ঞ। তাহারা তৈলচর্মে সিদ্ধার্থকে বসাইয়া অস্থি-সুখকর, মাংস-সুখকর, চর্ম-সুখকর, ও লোম-সুখকর এই চতুর্বিধ অঙ্গসুখকর পরিকর্মণা (অর্থাৎ তৈল হরিদ্রাদিক্ষণ ) ও সংবাহনাদি অঙ্গসেবা করিতে লাগিল। তাহাদের সংবাহনাদি ও পরিকর্মণায় শ্রান্তি ও পরিশ্রম অপগত হইলে তিনি অট্টনশালা হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন ॥ ৬০ ॥
তারপর অট্টনশালা হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া তিনি যেদিকে মার্জ্জন গৃহ সেইদিকে গমন করিলেন। যাইয়া মার্জ্জনগৃহে প্রবেশ করিলেন। সে গৃহ খচিত মুক্তাজালে অভিরামদর্শন । তাহার কুট্টিমে বিচিত্র মণিরত্ন খচিত থাকায় কুট্টিমতল অতি রমণীয়। স্নানমণ্ডপে নানা মণি রত্ন খচিত ও নানা চিত্র অঙ্কিত রহিয়াছে। সেখানে তিনি স্নান-পীঠিকায় সুখাসীন হইলেন । পুষ্পোদক, গন্ধোদক, উষ্ণোদক ও শুদ্ধোদকে কল্যাণকর শ্রেষ্ঠ স্নানবিধি অনুসারে তিনি স্নান করিলেন । উদ্গত-পদ্ম ( অর্থাৎ সূতার খাই তোলা ) সুকোমল গন্ধ-কাষায়িকা ( অর্থাৎ রক্তবর্ণ সুগন্ধ তোয়ালে ) দ্বারা অঙ্গ মার্জিত করা হইল । তারপর তিনি বহুমূল্য বস্ত্ররত্নে দেহ সুসংবৃত করিলেন । সরস ও দুরভি গোশীর্ষ ও চন্দন গাত্রে অনুলেপন করা হইল । তারপর স্নানানস্তর অনুষ্ঠেয় শত শত কৌতুকমঙ্গল সম্পাদিত ও বহুবিধ কল্যাণকর বিধি অনুষ্ঠিত হইল। তারপর চন্দনলেপনে শুচি পুষ্পমাল্য ও মণিবিদ্ধ স্বর্ণহার পরান হইল। হারে সংলগ্ন তে-নরী অর্ধহারে প্রালম্ব ( অর্থাৎ দোলক বা লকেট ) প্রলম্বিত রহিয়াছে । কটিদেশের শোভা কটিসূত্র, গ্রীবায় গ্রৈবেয়, ললিত অঙ্গুলিতে অঙ্গুরীয়, ভুজদ্বয়ের স্তম্ভন ( অর্থাৎ জড়ীকরণ ) স্বরূপ শ্রেষ্ঠ কটক ও ত্রুটিক, আননোজ্জ্বলকারী কুণ্ডল, দীপ্তশীর্ষ মুকুট, এইসব [ আভরণে ] তাঁহার সুন্দর দেহ অধিকতর রূপশ্রীসম্পন্ন হইল । আস্তৃত হার-স্তবকে বক্ষঃস্থল দ্যুতিমান্, পিঙ্গলবর্ণ মুদ্রিকায় অঙ্গুলি পিঙ্গলবর্ণ, পট্টবস্ত্রের উত্তরীয় হইতে [ মুক্তার ] প্রালম্ব ( অর্থাৎ ঝালর ) প্রলম্বমান নানা মহার্হ মণিরত্নখচিত বীরবলয়দ্বয় বিমল কনকে সুনিপুণ মণিকার কর্তৃক নির্মিত, গ্রথিত, বিদ্ধ, সুশ্লিষ্ট (অর্থাৎ দৃঢ়ভাবে জোড় দেওয়া),
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
৫৩
www.jainelibrary.org