________________
জিনচরিত্র ৫। তারপর ত্রিশলা দেখিলেন আকাশের অঙ্গনতল হইতে একগাছি [ পুষ্প-] দাম অবতরণ করিতেছে। তাহা সরস কুসুমসমূহের যোগে মন্দার-দামবৎ রমণীয় হইয়াছে। চম্পক, অশোক, পুন্নাগ, নগ, প্রিয়ঙ্গু, শিরীষ, মুদগরক, মল্লিকা, জাতী, যুথী, অংকোল্প, কোজ্জ, কোরস্তিপত্র, দমনক, নবমল্লিকা, বকুল, তিলক, বাসন্তিকা, পদ্ম, উৎপল, পাটল, কুন্দ, অতিমুক্ত এবং সহকার কুসুমের গন্ধে সুরভিত, অনুপম মনােহর গন্ধে তাহা দশদিক আমােদিত করিতেছিল। সর্ব-ঋতু-জাত সুরভি কুম সমূহের ধবলিমা-বিলাসে মনােহর এবং মধ্যে মধ্যে বহুবর্ণসংযােগে বৈচিত্র্যপূর্ণ [ সেই পুষ্পদামে ] ষট্পদ, মধুকরী ও ভ্রমরগণ গুঞ্জন করিয়া ফিরিতেছে, তাহাতে সমস্ত দেশভাগ নীলায়মান ও গুমগুমায়মান হইয়া উঠিয়াছে ৷ ৩৭ ॥
৬। তারপর সেই দেবী [ ত্রিশলা ] দেখিলেন রােহিণীর মনেমােহন ও হৃদয়বল্লভ পূর্ণচন্দ্র গগনমণ্ডলস্থ বিশাল সোমচক্রের • তিলকরূপে সংক্রমণ করিয়া শােভা পাইতেছেন। তিনি গাে-দুগ্ধফেনতুল্য, উদক-রজোরূপ-ফেন-সদৃশ এবং রাজত-কলসবৎ. পাণ্ডুর ( অর্থাৎ শুভ্রবর্ণ ) প্রত্যঙ্গে পরিপূর্ণ, হৃদয় ও নয়ন-রঞ্জন ও শুভাস্পদ। তিমিরনিকরে ঘনন্ধকার গুহাসমূহের অন্ধকার নাশকারী পূর্ণপ্রমাণ পক্ষান্তকালে রাজতলেখাবৎ দৃশ্যমান, কুমুদ-বন-বিবােধন, নিশার শোভাকর, সুপরিমার্জিত-দর্পণতলবৎ স্বচ্ছ, হংসােজ্জ্বলবর্ণ, অন্তরীক্ষমণ্ডন-কারী, তমােরিপু, মদনশরের তূণস্বরূপ, সমুদ্রোদকের উৎফুল্লতা সম্পাদক, রশ্মিদ্বারা দয়িতবিরহে অসুখী জনের শােষণকারী এবং সৌম্য সুন্দর-রূপসম্পন্ন ॥ ৩৮ |
৭। তারপর ত্রিশলা বিশাল সূৰ্য্যদেবকে দেখিলেন। তিমিরপটল ভেদ করিয়া এবং তেজঃপ্রভাৰে আত্মরূপ প্রজ্বলিত করিয়া [ তিনি প্রকাশিত হইলেন ]। [ তিনি রক্তবর্ণত্বে ] রক্তাশােকতুল্য, কিংশুকতুল্য শুক-মুখ-তুল্য এবং গুঞ্জাধরাজ সদৃশ (অর্থাৎ কুঁচ ফলের কৃষ্ণাংশ বাদে অবশিষ্টাংশের তুল্য)। তিনি কমলবনের অলঙ্কার স্বরূপ, জ্যোতিশ্চক্রের অঙ্কন (অর্থাৎ রাশিচক্রের পরিমাপক), অম্বরতলের প্রদীপ সদৃশ,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org