SearchBrowseAboutContactDonate
Page Preview
Page 25
Loading...
Download File
Download File
Page Text
________________ ly ‘অ ধাতু আমাদের শ্বাস-ধ্বনির অনুকরণে জাত অতি প্রাচীন ধ্বন্যাত্মক ধাতু। শ্বাসক্রিয়াই প্রাচীন মানবের নিকট জীবনের পরিচায়ক চিহ্ন ছিল। নাকে হাত দিয়া অথবা সন্দেহের স্থলে নাকে তুলা দিয়া দেহে জীবন আছে কিনা তা পরীক্ষা করিবার পদ্ধতি অতি প্রাচীন। সুতরাং ‘অস’ ধাতুও ‘অসু’ শব্দও অতি প্রাচীন। এই ‘অসু’ শব্দের উত্তর-র’ প্রত্যয় যােগে নিষ্পন্ন ‘অসুর’ শব্দের মৌলিক অর্থ প্রাণবান্ বা শক্তিমান। কিন্তু এ শক্তি ঐহিক শক্তি বা দৈহিক শক্তি ;- আধ্যাত্মিক বা মানসিক শক্তি নহে। তাই ঐহিক সম্ভোগকামী ইরাণীয়গণ। তাহাদের উপাস্য দেবতাকে ‘অহুর’ (< অসুর) শব্দে অভিহিত করিলেন এবং তাঁহাদের সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা হইলেন ‘অহুয়াে মজদা। অপর পক্ষে ভারতীয় আর্যগণ ‘অসুর’ শব্দকে দেবতার শত্রু অর্থাৎ দৈত্য শব্দের বাচক করিয়া লইয়া দেব অর্থে একটি নূতন শব্দ সৃষ্টি করিলেন—“সুর। ধাতু প্রত্যয় দ্বারা এ শব্দ নিষ্পন্ন হয় না, অন্যান্য আর্যভাষাতেও এ শব্দ নাই। এ শব্দের উৎপত্তি একটা বিস্মৃতির উপর প্রতিষ্ঠিত। ঐ প্রাচীন ‘অসুর' শব্দের প্রথম অ-কারটিকে নঞর্থক অ-কার ধরিয়া লইয়া, তাহার বর্জনে এই ‘সুর’ শব্দের উদ্ভব। কিন্তু এ ‘সুর’ শব্দ আজ পর্যন্ত আমাদের ভাষায় সজীব। সে যাহাই হউক, এই শব্দটি আমাদের প্রাচীন যুগের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের সনাতন সাক্ষীরূপে বর্তমান।। | বেদে দুইটি শব্দ আছে,‘ঋত’ ও ‘সত্য। দৃশ্যমান প্রাকৃতিক জগতের নিয়ামক শক্তি ‘ঋত’ এবং আধ্যাত্মিক ও নৈতিক জগতের নিয়ামক শক্তি সত্য। ইরাণীয়গণ এই ঋত (বা ‘অষ’) শক্তিকে দেবতার ন্যায় গণ্য করিয়া ইহার সর্বশক্তিমত্তা Jain Education International For Personal & Private Use Only www.jainelibrary.org
SR No.004068
Book TitleKalpasutra
Original Sutra AuthorN/A
AuthorBasantkumar Chattopadhyaya
PublisherCalcutta Vishvavidyalaya
Publication Year
Total Pages620
LanguageBengali
ClassificationBook_Other
File Size8 MB
Copyright © Jain Education International. All rights reserved. | Privacy Policy