________________
পণিবয়ামি।] এই গ্রন্থ ও অন্যান্য আগমগ্রন্থ সম্পাদিত ও লিখিত হইয়াছিল। ক্ষমাশ্রমণ দেবধর্ষিগণীই জৈন আগম-শাস্ত্রের ব্যাসদেব স্থানীয়। তারপর কালের প্রভাবে এই-সকল গ্রন্থ-মধ্যে যে কিছু-কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন ও পরিমার্জন সংঘটিত হইয়াছে, তাহা বিশ্বাস করিবার পক্ষে কোনও বাধা দেখি না। | প্রাচীন প্রবাদ ও কিম্বদন্তী অনুসারে জৈন আগমের ছেদগ্রন্থ-গুলির সঙ্গেই ভদ্রবাহুর বিশিষ্ট সম্পর্ক দেখা যায়। দসা, কপ্প ও ব্যবহার গ্রন্থের প্রণেতা বলিয়া ভদ্রবাহুরই নাম পাওয়া যায়। দসা (দশা ), আয়ার-দসা (আচার-দশক) বা দসায়খন্ধ (দশতস্কন্ধ) গ্রন্থের প্রণেতা ভদ্রবাহু। তিনখানি কল্প-গ্রন্থের মধ্যে কেবল একখানি জীয়কপপ’ ( জিতকল্প) জিনভদ্র-বিরচিত, অপর দুইখানি, বৃহৎ কল্প ও পঞ্চকল্প ভদ্রবাহুর রচনা। ব্যবহার-সূত্র (তৃতীয় ছেদসূত্র) ও ভদ্রবাহুরই রচনা। সুতরাং ছয়খানি ছেদগ্রন্থের মধ্যে তিনখানির রচয়িতা ভদ্রবাহু। মূলসূত্র চতুষ্টয়ের মধ্যে পিণ্ডনিযুক্তি ও ওঘনিযুক্তি ভদ্রবাহু-বিরচিত। সুতরাং আগম গ্রন্থগুলির মধ্যে ভদ্রবাহুর বিশিষ্ট দান আছে স্বীকার করিতে হয়। ধর্মঘােষ-কৃত ‘ইসিমংডল’ ( ঋষিমণ্ডল) স্তোত্রে দেখা যায় যে ভদ্রবাহু অনেকগুলি আগম গ্রন্থের নিযুক্তি বা ব্যাখ্যা রচনা করিয়াছেন।
ঋষিমণ্ডল সূত্রের ১৬৭ সংখ্যক শ্লোকে উক্ত হইয়াছে যে, . ভদ্রবাহু নবম পূর্ব হইতে দশটি কল্প ও তাহার সার-সংকলন করিয়াছেন। আবার ঐ ঋষিমণ্ডলসূত্রের একটি বৃত্তিতে পাওয়া যায় ।
“দশবৈকালিকশ্যাচারাঙ্গ-সূত্ৰকৃতাঙ্গয়াের।
উত্তরাধ্যয়ন-সূর্যপ্রজ্ঞপ্ত্যোঃ কলকস্য চ। ০. P. 93–15
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org