________________
৬া
ঘােষণা করিতেছে। খ্রীস্টীয় দশম শতাব্দী পর্যন্ত এই দেশের নানা-বংশীয় রাজগণ জৈন-ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তালকাড় প্রদেশের গঙ্গরাজগণ, মান্যখেট প্রদেশের রাষ্ট্রকূট ও কলচুরীয় রাজগণ, মাদুরার পাণ্ড্য রাজগণ সকলেই জৈন ছিলেন। কদম্ব ও চালুক্য-বংশীয় রাজারা ব্রাহ্মণ্যধর্মাবলম্বী, থাকিলেও জৈন-ধর্মের প্রতি আস্থা-সম্পন্ন ছিলেন এবং অর্থ ও বৃত্তিদানপূর্বক জৈন লেখকগণকে উৎসাহিত করিতেন। কিন্তু, পল্লব ও চোল রাজগণ জৈনধর্মের বিরােধী ছিলেন। খ্রস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চীন-দেশীয় পর্যটক হিউএন্ত-সাঙ এই দেশে অসংখ্য জৈন ধর্মাবলম্বী নর-নারী দেখিয়া গিয়াছেন। এইসকল প্রমাণ পর্যালােচনা করিয়া দেখিলে নিঃসংশয় হওয়া যায় যে, মৌর্য-নৃপতি চন্দ্রগুপ্তের গুরু জৈন গণধর ভদ্রবাহু এইদেশে সাফল্যের সহিত জৈনধর্ম প্রচার করিয়াছিলেন, এবং সেই জৈনধর্ম দেড় হাজার বৎসর ধরিয়া সে দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। এখনও অনেক ধর্মপ্রাণ জৈন নিগ্রন্থ সে-দেশের তীর্থগুলিতে গুহায় বাস করিতেছেন।
শ্ৰমণ ভগবান্ মহাবীর স্বামী মগধ-দেশে জৈনধর্ম প্রচার করিয়াছিলেন, এবং মগধ-দেশস্থিত ‘পাবা নগরে পরিনির্বাণ লাভ করিয়াছিলেন। চব্বিশজন তীর্থংকরের মধ্যে আরও কুড়ি জন মগধ দেশের সুমেতশিখর [ আধুনিক পরেশনাথ পাহাড় ] নামক স্থানে পরিনিত হন। মৌর্য নৃপতি চন্দ্রগুপ্ত মগধদেশে পাটলীপুত্রে রাজা ছিলেন। মহাবীর স্বামীর শিষ্য গণধরগণ ও ভদ্রবাহু মগধের অধিবাসী ছিলেন। এমত অবস্থায় পাঠকের মনে স্বতঃই প্রশ্ন জাগিতে পারে যে, ভদ্রবাহু স্বীয় জন্মস্থান মগধ-দেশ ত্যাগ করিয়া দুর্লঙ্ঘ্য বিন্ধ্যাচল লঙ্ঘনপূর্বক দাক্ষিণাত্যে কর্ণাট-প্রদেশে গিয়া উপনিবেশ স্থাপন
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org