________________
১ম শতকের। এর তােরণ সপের ফণার ওপর অবস্থিত বলে গুম্ফাটির নাম অনন্ত গুম্ফা। গুম্ফাটিতে একটী মাত্র প্রকোষ্ঠ ও সম আয়তনের একটী আচ্ছাদিত অলিন্দ। প্রকোষ্ঠে যাবার চারটি প্রবেশ-পথ। ভেতরে প্রাচীরের গায়ে নানা চিত্র উৎকীর্ণ।
অনন্ত গুম্ফা হতে খানিকটা নেমে এসে তেলি গুম্ফা। তেলি গুম্ফার সম্মুখের তেঁতুল গাছ হতে গুম্ফাটির ওই নাম।
তত্ত্ব গুম্ফা খৃঃ পূঃ ১ম শতকের। ভেতরের সভাগৃহে প্রবেশের এখানে তিনটি প্রবেশ-পথ। গুম্ফাটি সত্যি অনবদ্য। এই তত্ত্ব গুম্ফা ছাড়াও এখানে আরও একটি তত্ত্ব গুম্ফা আছে।
এছাড়া এখানে ধ্যানঘর, নবমুনি, বড়ভুজ, ত্রিশূল, ললাটে, কেশরী ইত্যাদি আরাে কয়েকটি গুম্ফা রয়েছে। ধ্যানঘরে একটী মাত্র সভাগৃহ। নবমুনিতে লাঞ্ছন সহ জৈন তীর্থঙ্করদের মূর্তি। বড়ভুজেও তীর্থঙ্করদের মূর্তি রয়েছে। ত্রিশূল গুম্ফায় চব্বিশজন তীর্থঙ্কর প্রাচীরের গায়ে উৎকীর্ণ । ললাটে দ্বিতল গুহামন্দির। তবে সম্মুখভাগ ধ্বস্ নামায় ভগ্ন। প্রাচীরের গায়ে তীর্থঙ্কদের মূর্তি। খােদিত। এই ললাটের সামনে একটা বৃহৎ পাথরের ওপর তিনটি জৈন মূর্তি রয়েছে। | উদয়গিরি-খণ্ডগিরির গুম্ফাগুলাে যদিও কোন সুপরিকল্পিত রীতিতে রচিত হয় নি তবুও নির্মাণ-কৌশলের জন্য এরা প্রশংসার। দাবী রাখে। অগভীর প্রাকৃতিক গুম্ফাগুলােকে যে ভাবে সেদিন শ্ৰমণদের আবাসে পরিণত করা হয়েছে তা সত্যি প্রশংসার। শুধু তাই নয়, গুম্ফাগুলাের প্রাচীরের গায়ে যে সব চিত্রাদি পাথরে উৎকীর্ণ হয়েছে বা যে সমস্ত মূর্তি পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। তাদের শিল্পমূল্যও কিছু কম নয়। প্রাকৃতিক, জৈব ও মানবীয় চিত্রগুলি তাদের স্বাভাবিকত্বে আজও আমাদের বিস্ময়ের উদ্রেক করে। উদয়গিরি-খণ্ডগিরি যদিও আজ জনবসতিহীন অরণ্যে
৪৫
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org