________________
মাকরানার শ্বেত পাথরে তৈরী। তবে এই মন্দিরের কাজ আরো সূক্ষ্ম । পদ্মের পাপড়িগুলোকে এখানে সত্যিকারের বলে ভুল হয়।
গল্প আছে, তেজপাল কারিগরদের কাজ শেষ হলে পদ্মের পাঁপড়ি দেখে বলেছিলেন যে, যারা এ থেকে যে পরিমাণ পাথর ঘঁষে বার করে দেবে তিনি তাদের সেই পরিমাণ সোনা দেবেন । তাই পদ্মের পাপড়ি এত স্বচ্ছ। আর মণ্ডপের ছাদ ? সে ত ছাদ নয়, পদ্মবন। সেখান হতে অসংখ্য আধফোটা পদ্মফুল নীচের দিকে ঝুলে রয়েছে ।
বস্তুপাল চরিতের লেখক জীন হর্ষগণি দেলওয়াড়ার এই মন্দিরটি তেজপালের স্ত্রী অনুপমা দেবীর উৎসাহে নির্মিত হয়েছিল বলে অভিহিত করেছেন। যখন তাঁরা মন্ত্রীত্ব লাভ করেন নি তখন তাঁরা এক সময় সৌরাষ্ট্রের তীর্থযাত্রা করেছিলেন। সঙ্গে তাঁদের প্রভূত অর্থ ছিল । দেশের অরাজক অবস্থার জন্য সেই অর্থ নিয়ে অধিক অগ্রসর হওয়া উচিত নয় মনে করে সেই অর্থের অধিকাংশই একটা গাছের নীচে পুঁতে রেখে যাওয়াই তাঁরা স্থির করেন। কিন্তু মাটি খুঁড়তে গিয়ে তাঁরা আরো অনেক প্রোথিত স্বর্ণ লাভ করেন । এই প্রভূত পরিমাণ স্বর্ণ দিয়ে তাঁরা কি করবেন যখন স্থির করতে পারছিলেন না তখন অনুপমা দেবীই তাঁদের এই অর্থ আবু, শত্রুঞ্জয় ও গিরনারে মন্দির নির্মাণের কাজে ব্যয় করবার উপদেশ দেন ৷
কিন্তু শুধু এই উপদেশটুকুই নয়, মন্দির নির্মাণের সময়ও তিনি মন্দির নির্মাণের কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করতেন। এই মন্দির নির্মাণের কাজই প্রথম দিকটায় আশানুরূপ অগ্রসর হচ্ছিল না। তখন তিনি প্রধান স্থপতিকে তেজপালের সম্মুখে উপস্থিত হবার আদেশ দেন ও তার মুখে শিল্পীদের অভাব-অভিযোগের বিষয় অবগত হয়ে তা অবিলম্বে দূর করেন। তার ফলে মন্দির নির্মাণের কাজ আশাতীতরূপে দ্রুত অগ্রসর হয়।
२
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
১৭
www.jainelibrary.org