________________
পূর্বাশ্রম হরিণৈগমেষী ইন্দ্রের আদেশ শিয়ােৰ করে দেবানন্দায় গর্ভ “ত্রিশলার কুশীতে রেখে এল ও ত্রিশলার গর্ভ দেবানন্দার কুকীতে।
তাই যখন দেবানন্দা বিশ্রী স্বপ্ন দেখে জেগে উঠলেন, তখন স্বপ্ন দেখছিলেন রাণী ত্রিশলাও। সেই স্বপ্ন যা দেখানা এম দেখেছিলেন। হন্তী, বৃষ, সিংহ, লক্ষ্মী, পুষ্পমালা, চন্দ্র, সূর্য, ধ্বজ, কলস, সরোবর, সমুদ্র, দেবিমান, রত্ন ও নিধুম অগ্নি।
আশ্বিনের কৃষ্ণা ত্রয়ােদশীর রাত। তাগুলাে অলজ্বল করছে নিকষ কালাে অন্ধকারে। বাতাসে পাতার মর্মর। এছাড়া কোথাও কোনাে শব্দ নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন দেখে সহসাই ঘুম ভেঙে গেল ত্রিশলারও। কি অদ্ভুত স্বপ্ন! তারপর তিনি যেমন ছিলেন তেমনি চলে এলেন রাজা সিদ্ধার্থের কাছে।
শুনছ, ওগাে, শােন
ত্রিশলার ডাকে সাড়া দিয়ে শষ্যার ওপর উঠে বসলেন সিদ্ধার্থ। চোখে তখনাে তার ঘুমের জড়তা। বললেন, কি হয়েছে ত্রিশলা? এমন অসময়ে, এভাবে?
প্রথমেই তাকে আশ্বস্ত করে নিয়ে পাশে বসে একটি একটি করে স্বপ্নের কথা খুলে বললেন ত্রিশলা। বললেন, কি আশ্চর্য স্বপ্ন! এমন স্বপ্ন কেউ কী কখনাে দেখেছে।
নিশ্চয়ই দেখেছে। তীর্থংকর ও চক্রবর্তীর মারাই দেখে থাকেন। ঋষভদেবের মা দেখেছেন, ভয়তের মা। কিন্তু সিদ্ধার্থের অতশত জানা নেই। তবু তার মনে হল স্বপ্নগুলাে শুভ। শুভ, তা নইলে কী কেউ কখনাে দেৰিমান দেখে না , না ধূমহীন অগ্নিশিখা। তাই ত্রিশলায় উদ্ভাসিত মুখের দিকে চেয়ে বললেন সিদ্ধার্থ, আমার কি মনে হয় জাননা ত্রিশলা, এই স্বপ্ন দর্শনের ফল আমাদের অর্থ লাভ, ভােগ লাভ, পুত্র লাজ, সুখ লাত, রাজ্য লাভ। তােমার গর্ভে কুদীপ পুত্র এসেছে।
নেক শুনে লয় ঈষৎ পান করলেন শিলা মুখখানা।