________________
কমান মহাবীর
চাতুর্মাস্য শেষ হতে তিনি শ্রাবন্তী পরিত্যাগ করে এলেন সামুঠঠিয়। সেখানে তিনি ভ, মহাভদ্র ও সর্বতােতন্দ্র প্রতিমার আরাধনা করে ধ্যানমগ্ন রইলেন।
ভদ্র প্রতিমার আরাধনা অর্থ পুৰ পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ চারদিকে চার প্রহর কায়ােৎসর্গ করা। এর পরিমাণ দুই অহােৱাত্র।
মহাভদ্র প্রতিমা আরাধনা অর্থ পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ চারদিকে এক অহােরাত্র কায়ােৎসর্গ করা। এর পরিমাণ চার অহােৱাত্র।
সর্বতােভষ্ট্র প্রতিমার আরাধনা অর্থ শুধু পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ এই চারদিকেই নয় ; ঈশান, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু, উথ, অধঃ সহ দশ দিকে দশ অহােরাত্র কায়ােৎসর্গ করা। এর পরিমাণ দশ অহােরাত্র।
যােল দিন তাই বর্ধমান নিরবচ্ছিন্ন ধ্যানে মগ্ন রইলেন।
সানুলঠঠিয় হতে বর্ধমান গেলেন দৃঢ়ভূমির দিকে। সেখানে পােল গ্রামে পােটাল উদ্যানে পােলাস চৈত্যে মহাপ্রতিমার আরাধনা করলেন।
মহাপ্রতিমার আরাধনায় তিন দিন উপবাসের পর শিলাখণ্ডের ওপর দাড়িয়ে শরীরকে সামনের দিকে ঈষৎ আনমিত করে হাত দুটি সামনে প্রসারিত করতে হয়। তারপর কোনাে রুক্ষ পদার্থে সমগ্র দৃষ্টি কেত্রিত করে সমস্ত রাত্রি ধ্যান করতে হয়।
বর্ধমানের এই উৎকৃষ্ট প্যানে স্বর্গে দেবরাজ ইন্দ্র বর্ধমানের প্রশংসা করে বললেন, বর্ধমানের মত ধ্যানী সংসারে আর দ্বিতীয় নেই। তিনি যে ধ্যানাস্থা লাভ করেছেন দেবতারাও তা হতে তাঁকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
সেকথা সংগম নামক এক দেবতার বিশ্বাস হয় না। তিনি তাই বর্ধমানকে পরীক্ষা করবার জন্য স্বর্গ হতে বর্ধমান যেখানে ধ্যানমগ্ন ছিলেন সেখানে নেমে এলেন। এসে প্রলয়কালীন ধুলােবৃষ্টি করলেন। সেই ধুলাে বর্ধমানের চোখ, কান ও নাকের ভেতর দিয়ে শরীরের ভেতর প্রবেশ করল। কিন্তু তাতে বর্ধমানের ধ্যান দল না।