________________
প্রা
৭৫
শ্রাবণের ধারাপাত তাঁকে নিরুদ্যম করতে পারে না, নিরুৎসাহ করতে পারে না এবল ঝটিকার আবর্ত। তিনি সে সময় বিশাল মহীরুহের মত সহ্য করেন।
সহ কয়েন তাই তিনি আরও প্রদীপ্ত হয়ে ওঠেন।
তারপর একদিন কেটে যায় বর্ষার বাধাও। দিগন্ত ফিরে পায় তার প্রসারতা। গ্রামের সীমান্তে ঢেউ দিয়ে যায় ধান্য-মঞ্জরী সােনালী রঙ। রমণীয় হয় পাদপের ছায়া। শিউলি ফুলের সুবাসে মন্থর হয় ভােরের বাতাস।
কিন্তু মন্থর হয় কি মানুষের মন । হয় বৈ কি!
যদিও তারা নির্যাতন করেছে বর্ধমানকে, দেয় নি কৰাৰ আশ্রয় তবু যখন দেখল তারা তাঁর অবিচল ধৈর্য, কঠোর কৃচ্ছসাধন, তাদের চোখের দৃষ্টি যখন গিয়ে পড়ল বর্ধমানের সৌম্য মধুর মুখের ওপর, করুণার এসে যা সিক্ত, ক্ষমার ঔদার্যে যা উদ্ভাসিত তখন তাদের কুরতা যেন আপনা হতেই বিগলিত হতে চাইল। চোখ দুটো হয়ে উঠল ৰাম্পসিক্ত।
বর্ধমান এইজন্যই এসেছিলেন অনার্যদেশে। কম নির্জয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয় করলেন তিনি তাদের হৃদয়। জয় হয়েছে তাঁর। জয় হয়েছে তাঁর অসীম ক্ষমার।
বর্ধমান শরৎকালও সেখানে ব্যতীত করলেন। তারপর চাতুর্মাস্ট শেষ হতে ফিরে গেলেন আবার আর্যভূমিতে।
বমান চলেছেন সিদ্ধার্থপুর হয়ে কুর্মগ্রামের দিকে।
পথের মধ্যে এক তিল গাছকে মাথা গজিয়ে উঠতে দেখে হঠাৎ প্রশ্ন করলেন গােশালক। তগৰ, এই গাছে কী ৩টি ধরবে? তিল