________________
বর্ধমান মহাবীর বলল, মহারাজ, সীমান্ত হতে দূত বিদ্রোহের মিথ্যা সংবাদ নিয়ে আসুক। আপনি তখন বিদ্রোহ দমনের জন্য যুদ্ধ যাত্রার উদ্যোগ করুন। কুমার বিশ্বভূতি যুদ্ধোদ্যমে সংবাদ পেয়ে কিছুতেই পুষ্পকণ্ডক উদ্যানে বসে থাকবে না। সে বিদ্রোহ দমনে প্রস্থান করলে কুমার বিশাখনন্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। এতে উভয় দিক রক্ষা হবে।
রাজায় এ পরামর্শ মনঃপূত হল। দূত মন্ত্রীদের দ্বারা নিযুক্ত হয়ে সীমান্ত হতে বিদ্রোহের সংবাদ নিয়ে এল। রাজা সেই সংবাদের ভিত্তিতে বিদ্রোহ দমনের জন্য যুদ্ধ যাত্রার উদ্যোগ করলেন।
পুষ্পকণ্ডক উদ্যানের নিভৃতে যেখানে বাইরের কোনাে শব্দই প্রবেশ করে না, যেখানে পুর-সুন্দরীদের কলহাস্যে ও নূপুর নিকণের খাৱাৰী তরল প্রবাহে বিশভূতির চিত্ত লগ্ন হয়ে থাকে সেখানে সহসা রণভেরীর নির্দোষ একটু যেন উচ্চকিত হয়েই ভেঙে পড়ল। কুমার বিশ্বভূতি সুখতা হতে সহসা জাগ্রত হয়ে তালকবাহিনীকে পাশে সরিয়ে দিয়ে পুষ্পকৰক ৰনের বাইরে এসে দাড়ালেন। পৌরজনদের জিজ্ঞাসা করলেন, ও কিসের শব্দ। উত্তর পেলেন, মহাৰাজ বিশ্বনন্দী সীমান্তের বিদ্রোহ দমনে যুদ্ধ যাত্রা করছেন।
| বিশ্ব হুতি ভীরু ৰা দুর্বল ছিলেন না। তাই তখনি জ্যেষ্ঠতাত বিশ্বনন্দীর কাছে গিয়ে তাঁকে নিবৃত্ত করে নিজে সেই সৈন্য বাহিনীর কতৃত্ব নিয়ে বিদ্রোহ দমনে গমন করলেন।
কিন্তু বিশ্বভূতি সীমান্ত অবধি এসেও কোথাও কোনাে বিদ্রোহের চিহ্ন দেখতে পেলেন না। তখন প্রতিনিবৃত্ত হয়ে রাজধানীতে ফিরে গেলেন।
বিশ্বভূতি রাজধানীতে ফিরে এসেই আৰায় পুষ্পকণ্ডক উদ্যানে প্রবেশ করতে গেলেন। কিন্তু এবারে প্রহরীরা তাঁকে বাধা দিল। বলল, কুমার বিশাখী অন্তঃপুনিকাদের নিয়ে এখন উদ্যানের ভেতরে মনে ।