________________
বর্ধমান মহাবীর শিখরে গিয়ে গাছ হতে আর নেৰে এল তখন তাদের সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠল। সবাই তাকে ঘিরে কোলাহল করতে লাগল কে তাকে আগে পিঠে নেবে।
সেই দেবতাও ততক্ষণে বালক হয়ে বালকদের সঙ্গে মিশে গেছে। বর্ধমানকে পিঠে তুলে নিয়েছে। নিয়ে এক ছুট।
কিন্তু কোথায় নিয়ে এসেছে সে তাকে। সরােবরের ধার দিয়ে, ঘন বনের মধ্য দিয়ে-এ যে অরণ্য।
অরণ্য! কিন্তু তার চাইতেও আশ্চর্য ছেলেটি ক্রমশঃ বড় হচ্ছে। কমে অরণ্যের সব চাইতে উচু গাছের দৈর্ঘ্যকেও সে ছড়িয়ে গেছে। ৰধমানকে কি সে আকাশ হতে মাটিতে ফেলে দেবে।
কিন্তু তাতে ভয় পায় ছেলে বর্ধমান নয়। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যার বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের সামান্য চাপে মেরুপৰ্বত কেঁপে উঠেছিল সে পাবে পিশাচরূপী দেবতাকে ভয়? বর্ধমান তার পিঠে বসেই তার ওপর চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে সে ছােট হয়ে গেল।
| দেবতাটি তখন স্বরূপ ধরে বর্ধমানের সামনে দাড়িয়েছেন। বলছেন, বর্ধমান, ইন্দ্ৰ তােমার সাহস, বল, বীর্য ও ধৈর্যের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করিনি। তাই তােমাকে পরীক্ষা করতে এসেছিলাম। কিন্তু দেখছি তিনি যা বলেছিলেন তা সম্পূর্ণ সত্য। একটুও অত্যুক্তি নয়। তুমি বীর নও, মহাবীর। | সত্যিই বর্ধমান মহাৰীৰ। কারণ নিজেকে পেতে গেলে চাই এমনি বল, ধৈর্য ও সাহস। যার এ তিনটি নেই সে নিজেকে খুজে পাবে কি করে? যুদ্ধে হাজার লক্ষ মানুষকে জয় করা এমন কিছু শক্ত নয় কিন্তু নিজেকে আয় করাযে পারে সেই মহাবীর।
যখন ভিলা সমস্ত নিলেন তখন ভয় পেয়ে গেলেন। বলেন, বমানকে এভাবে আর বুরে বেড়াতে দেওয়া হবে না। এতে তাকে লেংশালে দিতে হবে।