________________
১২
বিতভয় পত্তনে বর্ধমান কিছুকাল অবস্থান করলেন তারপর আবার বিদেহের দিকে ফিরে গেলেন। | সেই দীর্ঘ মরুভূমির পথেই প্রত্যাবর্তন। তার ওপর গ্রীষ্ম ঋতু। ক্রোশের পর ক্রোশ ধুধু করা মরুভূমি ছাড়া কোথাও কোনাে
নবসতি নেই। মাঝে মাঝে ঘােট ঘােট কাঁটাগাছ ছাড়া আর কোনাে ছায়া নেই। তাই ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর হয়ে শ্ৰমণদের পথ অতিক্রম করতে হল। | এমনি এক দিনের কথা। ক্ষুধায় যখন তারা কাতর তখন পথের মধ্যে তাদের দেখা হল একদল সার্থবাহের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে তিল ছিল। সেই তিল তা শ্রমণদের দিতে চাইল। যখন আর কিছু নেই তখন তিল দিয়েই তারা কুল্পিবৃত্তি করুক। কিন্তু না। শ্রমণের চর্যায় তার ব্যতিক্রম হয়। যে অল্প অপক, বীজরূপ তা শ্ৰমণ গ্রহণ করতে পারে না।
বর্ধমান নিয়মে কঠোর।
কঠোর তাই আর একদিন যখন পিপাসায় সকলে কাতর, যখন জলেরও সন্ধান পাওয়া গেল, বর্ধমান বললেন, না। এমণের অপৰু জল খেতে নেই। তাই জলের কুয়াে পেছনে ফেলে তাদের এগিয়ে যেতে হল।
তারপর একদিন সেই দুঃখের পথও শেষ হল। তিনি ফিরে এলেন বিদেহের বাণিজ্যগ্রামে। বাণিজ্যগ্রামেই তিনি সেই বর্ষাকাল ব্যতীত করবেন।
চাতুমা শেষ হতে বর্ধমান গেলেন বারাণসীর দিকে। সেখানে ঈশান কোণ স্থিত কোষ্ঠক চৈত্যে অবস্থান করলেন।
বারাণসীতেও বর্ধমান অনেক শিয় সংগ্রহ করলেন যাদের প্রমুখ ছিলেন চুনীপিওর , সুয়াদে ও তাঁর স্ত্রী খা।