________________
১০৬
বর্ধমান মহাবীর পুরুষাদ্বৈত সিদ্ধ হয় না। পুরুষ বিবর্ভের অর্থ পুরুষের মূল স্বরূপের বিকৃতি। পুরুষ বিকৃতি স্বীকার করলে তাকে আর অকর্মক বলা যাবে
, বলতে হবে সকর্মক। যেমন সাদা জলের পচন হয় না তেমনি অকর্মক জীবে বির্তও হয় না। তাই পুরুষাদ্বৈতবাদীরা যাকে মায়া নামে অভিহিত করেন তা পুরুষাতিরিক্ত জড় পদার্থ। তারা যে তাকে সৎ ৰা অসৎ না বলে অনির্বচনীয় বলেন এতেও তা যে পুরুষ হতে স্বতন্ত্র তাই সিদ্ধ হয়। সৎ নয় কারণ তা পুরুষ নয় ; অসৎও নয় কারণ তা আকাশকুসুমের মত কল্পিত বস্তুও নয়।
ভগবন, স্বীকার করছি পুরুষাদ্বৈতবাদ স্বীকার করলে প্রত্যক্ষ অনুভবের অসম্ভাব হয়। কিন্তু জড় ও রূপী কর্মপদার্থ চেতন ও অরূপী। আত্মার সঙ্গে কিভাবে সবদ্ধ হয় ও কিভাবে তাকে প্রভাবিত করে।
যেমন অরূপী আকাশের সঙ্গে রূপময় দ্রব্যের সম্বন্ধ হয়, যেমন ব্রাহ্মী ঔষধি ও মদিয়া আত্মার অরূপী চৈতন্যের ওপর ভালােমন্দ প্রভাব বিস্তার করে।
এভাবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন ও শঙ্কায় সমাধান। শেষ পর্যন্ত অগ্নিভূতিকে শীকার করতেই হল কর্মের অস্তিত্ব। স্বীকার করতে হল জীব ও কর্মের অনাদি সম্বন্ধ। যেমন বীজ ও অঙ্কুর। হেতু হেতু রূপে বর্তমান কিন্তু সেই সম্বন্ধের অবসান করা যেতে পারে। | প্রতিবুদ্ধ হয়ে অগ্নিভূতি তখন ইন্দ্রভূতির মত তার পাঁচশ জন শিষ্যসহ বর্ধমানের কাছে শ্ৰমণ দীক্ষা গ্রহণ করলেন।
অগ্নিভূতির পরাজয় ও শ্রমণ দীক্ষা গ্রহণের খবর যখন সােমিলাচাষের যজ্ঞশালায় গিয়ে পৌঁছল তখন সেখানে উপস্থিত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা সকলেই প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেন ও পরে অগ্নিভূতির হােট ভাই বায়ুভূতিকে অগ্রবর্তী কয়ে সশিয় বর্ধমানের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
| এদের মধ্যে ব্যক্ত ছিলেন কোল্লাগ সন্নিবেশের তারা গােয় ব্রাহ্মণ। শিষ্য সংখ্যা ৫০। সুধর্মাও ছিলেন কোল্লাগ সন্নিবেশের তৰে অগ্নি ৰৈায়ন গােত্রীয়। শিস্য সংখ্যা ৫০০। মণ্ডিক মৌ