________________
সম্পাদকীয়
লক্ষ লক্ষ লোক বদ্রী-কেদারনাথ যাত্রা করলো আর হঠাৎ হিমপাত হয়ে বহু লোক চাপা পড়ে মারা গেলো। এইরকম খবর শুনে সবারই মন দুঃখে ভরে যায় এই ভেবে যে কত ভক্তিভরে লোক ভগবানকে দর্শন করতে যায় আর তাদেরই ভগবান এভাবে মেরে ফেলেন ? এ ভগবানের অত্যন্ত অন্যায় ! দু'ভাইয়ের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি-র সময় একভাই বেশী সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়, অন্যজন কম পায়, সেখানে বুদ্ধি ন্যায় খোঁজে। শেষ পর্যন্ত কোর্টে যায় আর সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত মামলা চলে। পরিণামস্বরূপ আরও বেশী দুঃখী হয়। নিৰ্দোষ ব্যক্তি জেলে যায় আর দোষী ব্যক্তি স্ফূর্তি করে বেড়ায়। তো এতে ন্যায় কোথায় রইলো ? নীতিতে চলা মানুষ দুঃখী হয় আর অ- -নীতিতে চলা লোক বাংলো বানায়, গাড়িতে ঘোরে তো ওখানে ন্যায়স্বরূপ কিভাবে মনে হবে ?
-
এ রকম ঘটনা তো প্রতি পদক্ষেপেই হয়। যেখানে বুদ্ধি ন্যায় খুঁজে বেড়ায় আর দুঃখী-দুঃখী হয়ে যায়! পরমপুজ্য দাদাশ্রীর এ এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক খোঁজ যে এই জগতে কোথাও অন্যায় হয়-ই না। যা হয়েছে, তাই ন্যায় ! প্রকৃতি কখনো ন্যায়ের বাইরে যায়-ই নি। কারণ প্রকৃতি কোন ব্যক্তি বা ভগবান নয় যে তার উপর অন্য কারোর প্রভাব পড়বে! প্রকৃতি মানে সায়েন্টিফিক সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সেস। কত কত সংযোগ একত্র হলে তবেই কোন কাজ হয়। এত লোক ছিল, তার মধ্যে কিছু লোক মারা গেল কেন ? যাদের মারা যাওয়ার হিসাব ছিল তারাই মৃত্যু আর দুর্ঘটনার শিকার হল! অ্যান ইন্সিডেন্ট হ্যাজ্ সো মেনি কজেজ, অ্যান এক্সিডেন্ট হ্যাজ টু মেনি কজেজ! হিসাবে প্রাপ্য না হলে একটা মশাও তোমাকে কামড়াতে পারবে না। হিসাব আছে বলেই সাজা পেয়েছে। এইজন্য যে মুক্তি পেতে চায় তাকে এই কথাটা বুঝতে হবে যে তার সাথে যা যা হয়েছে তা ন্যায়ই হয়েছে।
‘যা হয়েছে তাই ন্যায়' এই জ্ঞান জীবনে যত উপযোগে আসবে ততটাই শান্তি থাকবে আর কোনরকম প্রতিকূলতাতেই ভিতরে একটা পরমাণুও নড়বে না ৷
ডাঃ নীরুবেহন অমিন-এর জয় সচ্চিদানন্দ