________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
কোন অন্যায় করেনি। এতে ভগবানের বা অন্য কারাের কোন অন্যায় নেই, ন্যায়-ই আছে। এইজন্য আমি বলি যে জগৎ ন্যায়স্বরূপ-ই। নিরন্তর ন্যায়স্বরূপেই থাকে।
কারাের একমাত্র ছেলে মারা গেলে শুধু তার পরিবারের লােকজনই কঁদে। অন্য আশ-পাশের লােক কেন কাদেনা ? ওই পরিবারের নিজেদের স্বার্থ থেকেই কাঁদে। যদি সনাতন বস্তুতে (নিজের আত্মস্বরূপে) স্থিত হয় তাহলে প্রকৃতি ন্যায়স্বরূপ-ই।
এইসব কথার মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছ ? সামঞ্জস্য খুঁজে পেলে জানবে যে কথাটা ঠিক। জ্ঞানকে আচরণে আনাে তাে কত দুঃখ কম হয়ে যায় !
| আর এক সেকেণ্ডের জন্যেও ন্যায়ের কোন পার্থক্য হয় না। যদি অন্যায়ী হত তাহলে মােক্ষতে কেউ যেতই না। এরা বলে ভালাে লােকেদের কেন ঝামেলা-ঝঞ্জাট হয় ? কিন্তু লােকেরা এমনি-এমনিই কোন ঝামেলা করতে পারে না। কারণ নিজে স্বয়ং যদি কোন কথায় নাক না গলায় তাহলে এমন কোন শক্তি নেই যে তােমার নাম নিতে পারে। নিজে নাক গলিয়েছে সেইজন্যে এইসব তৈরী হয়েছে।
প্র্যাকটিকাল চাই, থিয়ােরী নয়।
এখন শাস্ত্রকাররা কি লেখেন ? ‘যা হয়েছে তাই ন্যায়’ বলবে না। ওরা তাে ‘যা ন্যায় তাই ন্যায়’ বলবেন। আরে ভাই, তােমাদের জন্যেই তাে আমরা রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি ! থিওরেটিক্যালী এরকম বলে যে যা ন্যায় তাই ন্যায়, কিন্তু প্র্যাকটিকাল বলে যে যা হয়েছে তাই ন্যায়। প্র্যাকটিকাল বিনা দুনিয়াতে কোন কাজ হয় না। এইজন্য এটা থিয়ােরেটিকালী ঠিক হয়নি। মানে কি, যা হয়েছে তাই ন্যায়। নির্বিকল্প হতে হলে, যা হয়েছে তাই ন্যায়। বিকল্পী হতে চাইলে ন্যায় খুঁজতে যাও। ভগবান হতে হলে যা হয়েছে তাই ন্যায়, আর ঘুরে মরতে হলে ন্যায় খুঁজে নিরন্তর ঘুরে বেড়াও।