________________
সম্পাদকীয়
নিজের কোন ভুল ছাড়াই যখন ভুগতে হয় তখন হৃদয় দ্রবিত হয়ে বারংবার বলে যে এতে আমার কি ভুল ? এতে আমি কি অন্যায় করেছি ? তবুও উত্তর আসে না ; তখন নিজের অন্তরের উকিল ওকালত শুরু করে দেয় যে আমার এতে কোন ভুল নেই। এ সামনের ব্যক্তির ভুল নয় কি ? শেষে এমনই ধারণা করিয়ে দেয়, জাস্টিফাই করিয়ে দেয় যে ও যদি এরকম না করতাে তাে তাহলে আমার এরকম খারাপ করার বা বলার কি দরকার ছিল ? এইভাবে নিজের ভুল ঢাকে আর সামনের ব্যক্তির-ই ভুল, এরকম প্রমাণ করে দেয়। আর কর্মের পরম্পরা সৃজন করে।
পরমপুজ্য দাদাশ্রী অত্যন্ত সাধারণ মানুষেরও সমাধান করে দেয় এরকম জীবনােপযােগী সূত্র দিয়েছেন যে ‘ভুগছে যেতার ভুল। এই জগতে ভুল কার ? চোরের না কি যার চুরি হয়েছে তার ? এই দুজনের মধ্যে ভুগছে কে ? যার চুরি গেছে সেই তাে ভুগছে! যে ভুগছে তার ভুল ! চোরযখন ধরা পড়বে আর ভুগবে তখন তার ভুলের সাজা আসবে। আজ নিজের ভুলের সাজা পেয়েছে। নিজে ভুগছাে তাে পরে কাকে দোষ দেওয়ার থাকবে ? সামনের ব্যক্তিকে নির্দোষই দেখবে। নিজের হাত থেকে টি-সেট ভাঙলে কাকে বলবে ? আর চাকরের হাতে ভাঙে তাে ? এর মতই সব। ঘরে, ব্যবসায়ে, চাকরিতে সর্বত্রই ‘ভুল কার ?' খুঁজতে হয় তাে অনুসন্ধান করে দেখ ভুগছে কে?' তারই ভুল। যতক্ষণ ভুল আছে ততক্ষণ দুর্ভোগ আছে। যখন ভুল শেষ হয়ে যাবে তখন এই জগতের কোন ব্যক্তি, কোন সংযােগ তােমাকে ভােগাতে পারবেনা।
প্রস্তুত সংকলনে দাদাশ্রী ‘ভুগছে যে তার ভুল’-এর বিজ্ঞান খুলে ধরেছেন। এরকম অমূল্য জ্ঞানসূত্র এতে আছে যা উপযােগে নিলে নিজের সমস্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
ডাঃ নীরুবেহন অমিন-এর জয় সচ্চিদানন্দ