________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
জগত-এর সম্বন্ধ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে . . .
প্রশ্নকর্তা : এই যে নয় কলম দিয়েছেন তা বিচার, বাণী আর ব্যবহার শুদ্ধ করার জন্যেই দিয়েছেন তাে ?
দাদাশ্রী : না, না। অক্ৰমমার্গে এর দরকারই নেই৷ এই নয় কলম তাে অনন্ত জন্ম থেকে সবার সাথে তােমার যে হিসাব বাধা হয়ে গেছে তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে দিয়েছি। তােমার (হিসাবে) বই-খাতা পরিষ্কার করার জন্যে দিয়েছি ।
সেইজন্যে এই নয় কলম বললে (লােকেদের সাথে বাঁধা) তার খুলে যাবে। লােকেদের সাথে ঋণানুবন্ধের যে তার বাধা হয়ে আছে তা তােমাকে মােক্ষে যেতে দেবে। । সেই তার খােলার জন্যে এই নয় কলম।
এ বললে তােমার আজ পর্যন্ত যে দোষ হয়ে গেছে সেই সমস্ত দোষ আগ্লা হয়ে যাবে। আর পরে কিন্তু এর ফল আসবেই। সমস্ত দোষ পুড়ে যাওয়া দড়ির মত হয়ে যায়, তাতে একটু হাত ছোঁয়ালেই তা ঝরে যাবে ।
প্রশ্নকর্তা : দোষের প্রতিক্ৰমণ করার জন্য আমি এই নয় কলম যদি রােজ বার-বার বলি তাে এতে শক্তি পাওয়া যায় কি ?
দাদাশ্রী : তুমি নয় কলম যে বলাে তা আলাদা আর এই দোষেদের প্রতিক্ৰমণ করাে তা আলাদা। যে দোষ হয়ে যাচ্ছে রােজ তার প্রতিক্ৰমণ করবে ।
অনন্ত জন্ম থেকে লােকেদের সাথে রাগ-দ্বেষের যে হিসাব হয়ে গেছে এই নয় । কলম বললে সেই ঋণানুবন্ধ থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এই প্রতিক্ৰমণ তাে খুব বড় মাপের। প্রতিক্ৰমণ। এই নয় কলমের মধ্যে সমস্ত জগতের প্রতিক্ৰমণ এসে যায়। এটা ভালােভাবে করাে। আমি তােমাকে দেখিয়ে দিলাম। এরপরে আমি আমার দেশে (মােক্ষে) চলে যাবাে তাে !