________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
আর অনুমােদন করবাে না। তাে এর অর্থ এই কি যে, ভবিষ্যতে এরকম যেন না হয় তার জন্যে আমি শক্তি চাইছি অথবা পূর্বের করা দোষ ধুয়ে যাবে তার জন্যে শক্তি চাইছি। কিসের জন্যে এটা ?
| দাদাশ্রী : আগেরটা ধুয়ে যাবে আর শক্তি উৎপন্ন হবে। শক্তি তাে আছেই কিন্তু তা (পূর্বের দোষ) ধুয়ে গেলে ব্যক্ত হবে। শক্তি তাে আছেই কিন্তু তা ব্যক্ত হওয়া চাই। সেইজন্যে দাদা ভগবানের কৃপা চাইছাে যে, এ তােমার ধুয়ে যায় তাে শক্তি ব্যক্ত হবে।
প্রশ্নকর্তা : এই সব পড়ার পরে মনে হচ্ছে যে এতাে অত্যন্ত গভীর, শক্তিশালী কথা। সাধারন মানুষও যদি বুঝে যায় তাে তার সমস্ত জীবন সুখময় হয়ে যাবে ।
| দাদাশ্রী : হ্যা, নইলে বােঝার উপযুক্ত কথা তাে আজ অবধিও পায় নি। এই । প্রথমবার শুদ্ধ বােঝার উপযুক্ত কথা পেয়েছে। এখন এটা পাওয়াতে সমাধান আসবে ।।
| এই নয় কলমে যা আছে তা তুমি আপনা থেকে যেটুকু পালন করতে পারলে। তা করবে । কিন্তু পালন করতে না পারলে মনে কোনাে খেদ রাখবে না। তােমার শুধুমাত্র এটুকুই বলার যে আমাকে শক্তি দিন। তাে শক্তি জমা হতে থাকবে। পরে কাজ আপনা থেকেই হতে থাকবে। শক্তি চাইছাে সেইজন্যে সমস্ত নয় কলম-ই সেট হয়ে যাবে ! সেইজন্যে শুধু যদি বলাে তাহলেও অনেক হয়ে গেলাে। বলছাে , মানে। শক্তি চাইছাে আর তাই শক্তি পাচ্ছাে ।
‘ভাবনা থেকে ভাবশুদ্ধি
প্রশ্নকর্তা : আপনি তাে বললেন যে হুঁকো খাও কিন্তু ভিতরে বলতে থাকো যে খাওয়া উচিৎ নয় , খাওয়ানাে উচিৎ নয় আর যে খাচ্ছে তাকে অনুমােদন করাও উচিৎ
নয় . . .
দাদাশ্রী : হ্যা, এর অর্থ এটাই যে, এতে তােমার সম্মতি নেই। এটুকুই বলতে চাইছি। অর্থাৎ এর থেকে তুমি আলাদা , আর হুঁকো খাওয়া যদি আপনা থেকে বন্ধ।