________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
| দাদাশ্রী : প্রকৃতি অর্থাৎ আগে যা ভাব করেছিলে তা কিসের আধারে করেছিলে? যা আহার গ্রহণ করেছিলে তার আধারে ভাব করেছিলে। এই ভাবকে তেরাে দিয়ে গুণ করেছিলে। এই ভাবকে এখন নিঃশেষ করতে হলে তাকে তেরাে দিয়ে ভাগ করলে তা নিঃশেষ হবে। আর নতুন করে কোনাে ভাব উৎপন্ন না হলে ওই খাতা বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন ইচ্ছা হচ্ছে না তাই খাতা বন্ধ হয়ে গেছে। খাতা বন্ধ করে দিতে হবে ।
... সেখানে প্রকৃতির শূন্যতা !
| প্রশ্নকর্তা : শুদ্ধাত্মার জ্ঞান তাে দিয়েছেন। এখন এই প্রকৃতিকে শূণ্য করার জন্যে। নয় কলম বললে তা সাহায্য করবে ?
| দাদাশ্রী : সাহায্য তাে হবে। যত দিয়ে গুণ করেছাে তত দিয়ে ভাগ করবে। আমাকে ডাক্তার বলে যে, এটা খান। আমি বলি, ‘ডাক্তার, এই উপদেশ অন্য রােগীকে দিও। আমার গুণ অন্য ধরনের। সে যদি আমাকে ভাগ করতে বলে তাে তা কিভাবে মিলবে ?
প্রশ্নকর্তা : আপনি তাে লঙ্কা উপর থেকে বেশী করে নিয়ে ভাগ করছেন ?
দাদাশ্রী : লঙ্কা খাওয়ার সময় আমি সবাইকে বলি যে এটা কাশির ওষুধ খাচ্ছি। আর কাশি হলে বলি যে দ্যাখাে, কাশি হলাে তাে ?
প্রশ্নকর্তা : এতে ভাগ কি করে হলাে ?
দাদাশ্রী : একেই ভাগ করা বলে। লঙ্কা না নিলে ভাগ পুরাে করা হতাে না।
প্রশ্নকর্তা : অর্থাৎ আগে প্রকৃতিতে যা ভরা হয়েছে তা এখন পুরাে করতে হবে।
দাদাশ্রী : হ্যা, পুরাে করতে হবে ।