________________
প্রশ্নকর্তা ঃ আপনার কাছ থেকে জ্ঞান পেয়েছি, মন-বচন-কায়া আপনাকে অর্পণ করেছি, আর চিন্তা হয়ই না।
দাদাশীঃ হবেই না।
চিন্তা দূর হয়েছে, তার-ই নাম সমাধি। এতে আগের থেকে কাজও বেশী হবে, কারণ অশান্তি থাকবে না তাে! অফিসে গিয়ে বসলেই কাজ হতে থাকবে। ঘরের বিচার আসে না, বাইরের বিচার আসে না, কোন প্রকারের বিচারই আসে না আর সম্পূর্ণ একাগ্রতা থাকে।
বর্তমানে থাকে সেই ঠিক কারাের যদি তিন বছরের একমাত্র মেয়ে থাকে, তার মনে এরকম চিন্তা হয় যে এ বড় হলে এর বিয়ে দিতে হবে, তাতে খরচা হবে। এরকম চিন্তা করতে বারণ করা হচ্ছে। কারণ যখন ওর সময় হবে তখন সমস্ত এভিডেন্স (সংযােগ) একজোট হয়ে যাবে। এইজন্যে সময় না আসা পর্যন্ত তুমি ওতে হাত দিও না। তুমি নিজের মত করে মেয়েকে খাওয়া-দাওয়াও, লেখা-পড়া শেখাও কিন্তু ভবিষ্যতের সব চিন্তা করতে যেও না, আজকের দিন, বর্তমানের ই করাে। অতীত তাে চলে গেছে। যা তােমার অতীত তাকে কেন খোঁড়াখুঁড়ি করছ? একে খুঁড়তে নেই! অতীত তাে চলে গেছে, তাকে তাে কোন মুখ মানুষও খুঁড়ে বার করে না। ভবিষ্যৎ ব্যবস্থিত-এর হাতে, তাই আমাদের বর্তমানেই থাকা উচিৎ। এখন চা খাওয়ার থাকে তাে আরাম করে চা খাও, কারণ ভবিষ্যৎ ব্যবস্থিত-এর হাতে। আমার ঝঞ্ঝাট কোথায়? এইজন্যে বর্তমানেই থাকবে। যখন খাবার খাবে তখন খাওয়াতে সম্পূর্ণ চিত্ত রেখে খাওয়া উচিৎ। পকোড়া কি দিয়ে তৈরী হয়েছে, এ সমস্ত ধীরে-সুস্থে জানাে। বর্তমানে থাকা এর অর্থ হল হিসাবের বই একদম একুরেট, ওতেই চিত্ত থাকা উচিৎ। কারণ চিত্ত যদি ভবিষ্যতে চলে যায় তাে আজকের হিসাবের বইয়ে বিঘ্ন ঘটবে। কেননা ভবিষ্যতের বিচার খচখচ্ করে আর তাতে আজকের হিসাব নষ্ট হয়ে যায়। ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়। কিন্তু যে বর্তমানে থাকে তার একটাও ভুল হয় না, তার চিন্তাও হয় না।
[৩১]