________________
বিচার করতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু বিচার মানে কি? একটা ভাবনা শুরু হল আর একটা সীমার পর তা আরও চললে তখন তাকে চিন্তা বলে। সীমার মধ্যেই ভাবা দরকার। বিচারের নালিটী কি? ভেতরে তরঙ্গ না ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত। তরঙ্গ উঠতে থাকলে তখন বন্ধ করে দেওয়া। তরঙ্গ উঠতে থাকলে চিন্তা শুরু হয়ে যায়। এটা আমার আবিষ্কার।
চিন্তা করার অধিকার নেই। ভাবার অধিকার আছে, কি ভাই, এই পৰ্য্যন্ত ভাববে আর ভাবনা যখন চিন্তায় পরিনত হয় তখন বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। এই অ্যাবাভ-নর্মাল বিচারকেই চিন্তা বলে। এই জন্যে আমি ভাবি কিন্তু যদি অ্যাবাভ-নর্মাল হয়ে যায়, পেটে গুড়গুড় করে তখন বন্ধ করে দিই।
প্রশ্নকর্তা ও সাধারনভাবে ভিতরে দেখতে থাকে ততক্ষণ বিচার বলে আর ভিতরে চিন্তা হতে থাকলে তার প্রভাবে এসে গেছে এরকম বলা যায়। | দাদাশ্রী ও চিন্তা হওয়া মানেই তার প্রভাব এসে যায়। চিন্তা হওয়া মানে ধরে নেওয়া যে আমার কারণেই চলছে, এইরকম মনে করা। এ তাে এইরকমই, এ সব ঝাটে পড়াই উচিৎ নয়। সব মানুষের মধ্যে এই রােগ ঢুকে গেছে; এখন সহজে বেরােবে কি? তাড়াতাড়ি তাে বেরােবে না। অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, সে তাে যাবে না! হ্যাবিচ্যুয়েটেড।।
প্রশ্নকর্তা : আপনার কাছে এলে বেরিয়ে যাবে না? দাদাশ্রীঃ হ্যা, বেরিয়ে যায় কিন্তু ধীরে ধীরে বেরােয়। একদম চলে যায় ।।
যেখানে পরসত্তা হাতে নেয়, সেখানে চিন্তা তােমার কিরকম চলে? কখনও অশান্তি হয় কি? চিন্তা হয় ?
প্রশ্নকর্তাঃ এই আমার বড় মেয়ের বিয়ের কথা পাকা হচ্ছে না, সেইজন্যে অশান্তি হয়।
দাদাশ্রী ঃ তােমার হাতে যদি থাকে তাে অশান্ত থাকো না, কিন্তু এ কি তােমার হাতে আছে? নেই? তাে কেন শুধু শুধু অশান্তি ভােগ করাে? তাহলে কি এই শেঠজীর হাতে আছে? এই বােনের হাতে আছে?
[ ২৬ ]