________________
সম্পাদকীয়
জীবনে যা কিছু আসে, তাকে পূর্ণরূপে রিয়েলাইজেশান না হওয়া পর্যন্ত মানুষ তা গ্রহণ করে না। সবকিছুর রিয়েলাইজেশান করেছে, শুধুমাত্র ‘সেল’ –এরই রিয়েলাইজেশন করেনি। অনন্তজন্ম থেকে ‘আমি কে' তারই পরিচয় হয়নি, সেইজন্যেই তাে এই ঘুরে মরাও শেষ হয়নি। এর পরিচয় কিভাবে হবে ?
| যাঁর নিজের পরিচয় হয়ে গেছে, সেই ব্যক্তিই অন্য ব্যক্তিদের সহজে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। এরকম বিভূতি স্বয়ং যিনি ‘জ্ঞানী’ তারই। জ্ঞানীপুরুষ তিনিই যাঁর এই সংসারে কিছু জানার, কিছু করার আর অবশিষ্ট নেই! এইরকম জ্ঞানীপুরুষ পরমপূজ্য দাদাশ্রী এই কালে আমাদের মধ্যে এসে আমাদের ভাষাতে, আমরা বুঝতে পারি এরকম সরল ভাষাতে প্রত্যেকের মূল প্রশ্ন ‘আমি কে' – এর উত্তর সহজভাবে বলে দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এই সংসার কি ? কিভাবে চলছে ? কর্তা কে ? ভগবান কি ? মােক্ষ কি ? জ্ঞানীপুরুষ কাকে বলে ? সীমন্ধর স্বামী কে ? সন্ত, গুরু আর জ্ঞানীপুরুষের পার্থক্য কি ? জ্ঞানীকে কিভাবে চেনা যায় ? জ্ঞানী কি করতে পারেন ? পরমপূজ্য দাদাশ্রীর আক্রম-মার্গ কি ? ক্রমিকরূপে তাে মােক্ষমার্গে অনন্তজন্ম থেকে চড়ে আসছাে কিন্তু ‘লিফট’ (এলিভেটর)-এর মতাে মােক্ষমার্গে কিছু হতে পারে কি ? অক্রমমার্গে এই কালে সংসারে থেকেও মােক্ষ হয়, আর মােক্ষ কিভাবে প্রাপ্ত করা যায় তার সম্পূর্ণ বিবরণ আর সঠিক দিশা-র প্রাপ্তি পরমপূজ্য দাদাশ্রী করিয়েছেন। | ‘আমি কে' -এর পরিচয়ের পরে কিরকম অনুভূতি থাকে, সংসার-ব্যবহার পালন করেও সম্পূর্ণ নির্লেপ অনুভূতিতে থাকা যায়। আধি-ব্যাধি আর উপাধিতেও নিরন্তর স্ব-সমাধিতে থাকা যায়, এরকম অনুভব এই অক্রমবিজ্ঞান প্রাপ্তির পর হাজার হাজার মহাত্মার হয়েছে ! এই সমস্ত কিছু প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুত সংকলন মােক্ষলাভাথীদের মােক্ষমার্গে আলােকস্তম্ভ হয়ে দিশা নির্দেশ করুক এই প্রার্থনা।
ডাঃ নীরুবেহন অমিন-এর জয় সচ্চিদানন্দ