________________
ট্রাফিক-এর নিয়ম-কানুন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচায়। আপনি যখন কোন ব্যস্ত রাস্তা পারাপার করেন তখন খুব সতর্ক থাকেন যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্যের সাথে ব্যবহারেও সেরকম সতর্ক থাকুন। কোন ব্যক্তি যত দুর্নীতিপরায়ণ বা ঘৃন্য হােক না কেন আপনার দৃঢ় সঙ্কল্প থাকা উচিৎ কাউকে আঘাত না দেওয়ার। আপনার সমস্তরকম সতর্কতা এবং সঙ্কল্প সত্ত্বেও কেউ আপনার সাথে সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে। তাতে আপনি আহত হবেন। সমস্ত সংঘাতে দুই পক্ষই আহত হয়। আপনি কাউকে আঘাত করলে অবশ্যম্ভাবীরূপে আপনিও সেই মুহুর্তে ব্যথা অনুভব করবেন। আমি ট্রাফিক-টা উদাহরণ হিসাবে দিয়েছি। আপনি যদি দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একই কথা সংঘাতের জন্যেও প্রযােজ্য। সেইজন্যে আপনি কারাের সাথে সংঘাতে জড়াবেন না। সাংসারিক জীবনে কারাের সাথে ব্যবহারে কোনরকম সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করবেন না কারণ এতে সব সময়েই ঝুঁকি থেকে যায়। তাছাড়াও সংঘর্ষ মাঝে-মধ্যে হয়; এমন নয় যে মাসেরমধ্যে দু’শােবার সংঘাত হচ্ছে - নয় কি? আপনার জীবনে মাসে কতবার এরকম হয়?
প্রশ্নকর্তা ও হয়তাে দু-চার বার হয়।
দাদাশ্রীঃ এই সংঘর্ষগুলাের বিরাম দরকার। সংঘর্ষে জড়িয়ে আমরা কেন আমাদের সবকিছু নষ্ট করব? আর এসব আমাদের শােভা পায় না। লােকেরা ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে যা কিনা খুব কঠোর নীতি কিন্তু নিজেদের মর্জিমতাে গাড়ি চালায় না। ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে বলে তারা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। তেমনি আপনার দৈনন্দিন জীবনেও নিয়ম-নীতি মেনে চলবেন যা আপনাকে সংঘাত থেকে রক্ষা করবে। সংঘর্ষ হয় কারণ আপনি নিজের নিয়ম আর তার নিজস্ব ব্যাখ্যাকে অনুসরণ করেন। যখন লােকেরা ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে তখন যান-বাহন চলাচলে কোন অসুবিধা হয় না। যদি আপনি এই নিয়ম একই উপলব্ধির সাথে দৈনন্দিন ব্যাবহারেও প্রয়ােগ করেন তাহলে কখনই অসুবিধায় পড়বেন না। জীবনের নীতি-নিয়মগুলাের নিজস্ব, সীমিত ব্যাখ্যার কারণেই অসুবিধার সৃষ্টি হয়। জীবনের নিয়মগুলাে বােঝার ক্ষেত্রেই গােড়ায় গলদ থেকে যায়। যিনি এই নিয়মগুলাের ব্যাখ্যা
| [ ৬ ]