________________
করায়। যে পুদ্গল শুদ্ধ, সে এইসব করায় না। এই পুদ্গল তো মিশ্র চেতন হয়েছে। আত্মার বিশেষ ভাব আর জড়ের বিশেষ ভাব, দু’য়ে মিলে এক তৃতীয় রূপ পেয়েছে।
প্রশ্নকর্তা ঃ যেখানে কোন সংঘাত নেই তার মানে কি সেখানে অহিংসার সত্য ইচ্ছা জাগৃত হয়েছে?
দাদাশ্রী : না, সেরকমও নয়! কিন্তু দাদার কাছে তো জানা গেছে যে দেওয়ালের সাথে সংঘাত করে কত লাভ (!), তাহলে (অন্তর-নিবাসী) ভগবানের সাথে সংঘাত করে আরও কত লাভ হবে? ! এই বিপদ বুঝতে পারলেই নিজের পরিবর্তন হতে থাকবে।
অহিংসা সম্পূর্ণভাবে বোঝা কঠিন কারণ এটা এতই গভীর একটা বিষয় যে একে সামগ্রিক ভাবে বোঝা অসম্ভব। তার পরিবর্তে যদি আপনি এটুকুই ধরতে পারেন, ‘কখনও সংঘাতে জড়াবেন না' তাহলে আপনি আপনার শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন যা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। এইভাবে সংঘর্ষের কারণে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। যদি আপনি কখনও সংঘাত জড়িয়ে পড়েন তাহলে তার পরিণাম প্রতিক্রমণ (আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা) করে মুছে ফেলতে পারেন। তা নাহলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। এই জ্ঞানের সাহায্যে আপনি মোক্ষ লাভ করবেন কিন্তু সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে যা আপনার মুক্তিকে বিলম্বিত করবে।
দেওয়ালের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা আপনার ক্ষতি করবে না কারণ তা একপক্ষীয়, কিন্তু কোন জীবের প্রতি একটামাত্র নেতিবাচক চিন্তাও ক্ষতিকর। ক্ষতি দু'পক্ষেরই হবে। কিন্তু যদি আপনি পরে প্রতিক্রমণ করেন তাহলে আপনার দোষ মুছে যাবে। সেইজন্য কোথাও সংঘাত হলে প্রতিক্রমণ করুন যাতে সেখানেই তার সমাপ্তি হয় ।
সমাধান, সম্যক জ্ঞান থেকে
প্রশ্নকর্তা ঃ দাদা, অহংকার থেকে যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় যা ঘরে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি দাদার কাজ করার সময়ও প্রযোজ্য তার সম্পর্কে আপনি কি বলেন? এই সমস্ত পরিস্থিতির সমাধান তো দরকার ?
[ 22 ]