________________
সে খুশীতে ভরে উঠতাে। মিনতি করে বলতাে, আমাকে কিছু শেখান দাদা। আমি তাকে বলতাম, “তুমি প্রত্যেকদিন লােকের সাথে ঝগড়া করে আমার কাছে আসাে আর আমাকে তাদের নালিশ শুনতে হয়। তবুও সে বলতাে, তাহলেও আমাকে কিছু দিন। শেষ পর্যন্ত তাকে বললাম, “আমি | তােমাকে একটা মাত্র বাক্য দেব এই শর্তে যে এটা তােমাকে মেনে চলতে হবে। সে প্রতিজ্ঞা করলাে যে মেনে চলবে। তখন আমি তাকে বললাম, ‘কারাের সাথে সংঘাতে জড়াবে না। যখন সে সংঘাত বলতে আমি কি বােঝাচ্ছি তা জানতে চাইলাে তখন আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম। মনে করাে তুমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছ আর তােমার চলার পথে একটা ল্যাম্পপােস্ট আছে; তুমি কি সেটা এড়িয়ে যাবে না তার সাথে ধাক্কা খাবে?” সে বললাে, যদি আমি ধাক্কা খাই তাহলে আমার মাথা ফাটতে পারে। আমি আবার বললাম, ‘যদি একটা ষাঁড় তােমার সামনে চলে আসে তুমি কি তার রাস্তা থেকে সরে যাবে না-কি তার দিকেই হাঁটতে থাকবে? সে উত্তর দিল, তার সামনে এগিয়ে গেলে আমি চোট পেতে পারি তাই তাকে এড়িয়ে যাব। আমি তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আর যদি তুমি রাস্তায় একটা সাপ বা বিশাল পাথর দেখতে পাও তাহলে কি করবে। তাতে সে বললাে, আমাকে তাদেরকেও এড়িয়ে চলতে হবে। আমি কারণ জানতে চাইলে সে বললাে, “আমারই ভাল-র জন্য, যদি আমি সংঘাতে যাই তাতে আমারই ক্ষতি।
এই জগতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ আছে; কেউ পাথরের মত, কেউ ষাঁড়ের মত, কেউ সাপের মত, কুে ল্যাম্পপােস্টের মত আর কেউ শুধুই সাধারণ। মানুষ। তাদের কারাের সাথেই সংঘাতে জড়াবে না; এড়িয়ে যাবে। আমি তাকে এই উপদেশ 1951 সালে দিয়েছিলাম; সে গুরুত্বের সাথে তা নেয় এবং তারপর থেকে কারাের সাথে কখনও সংঘাতে লিপ্ত হয় নি। তার ওপরওয়ালা, যিনি তার-ই কাকা তিনি এই পরিবর্তনের কথা জানতে পেরে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্ররােচিত করার চেষ্টা করেন। তাকে সমস্তরকমভাবে প্ররােচিত করার চেষ্টা করেও তিনি সফল হন নি কারণ সে কোন কিছুকেই নিজেকে প্রভাবিত করার রাস্তা দিত না। 1951 সালের পরে সে আর কারাের সাথে সংঘাতে জড়ায় নি।
[ ৮ ]