________________
প্রজ্বলিত করলেন। জৈনদের সেই হ'তে দীপান্বিতা রাত্রির আলােকসজ্জা।
পাওয়ার বর্তমান জল-মন্দিরটি যেখানে অবস্থিত সেইখানে মহাবীরের নশ্বর দেহকে ভস্মীভূত করা হয়। সেদিন সেখানে অবশ্য কোনাে সরােবর ছিল না, কিন্তু মহাবীরের চিতাভস্ম নেবার জন্য এমনি কাড়াকাড়ি পড়ে যায় যে যারা চিতাভস্ম সংগ্রহ করতে পারেন নি তারা। সেইখানকার মাটি তুলে নিয়েই চলে গেছেন। এতে সেখানে যে প্রকাণ্ড গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল সেই গর্তই কালে বড় হয়ে বৃহৎ সরােবরের রূপ নিয়েছে। এই সরোবরের বর্তমান পরিধি এক মাইলেরাে ওপর। | সরােবরের মাঝখানের জল-মন্দিরটি অনেক কালের হলেও মর্মর প্রস্তরের আচ্ছাদনটি খুব বেশী দিনের নয়।
মন্দিরটিকে ৬০০ ফুট দীর্ঘ পাথরের একটি সেতু দিয়ে স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রস্ফুটিত পদ্মবনের মাঝখানে হাঁসের পালকের মতাে সাদা এই জল-মন্দিরটির শোভা সত্যিই অপূর্ব। বিশেষ করে জ্যোৎস্না রাতে একে পাথরের তৈরী বলে আর মনেই হয় না। মনে হয় একরাশ কুন্দফুল মহাবীরের সমাধিতে কে যেন ভক্তি ও শ্রদ্ধায় ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। এই মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহে অনেক কাল আগের মহাবীরের চরণ-চিহ্ন সংস্থাপিত।
জল-মন্দিরের মতাে গাঁও-মন্দিরটিও পাওয়ার একটা উল্লেখ যােগ্য মন্দির। এইখানে ধর্মদেশনা দিতে দিতে মহাবীর কালগত হন। প্রবাদ, এই মন্দিরটি তাঁর দেহাবসানের পর তার অগ্রজ রাজা নন্দীবর্দ্ধন তাঁর স্মৃতিতে নির্মাণ করিয়ে দেন। মন্দিরটি বর্তমানকারে খৃঃ পূঃ ৫০০ বছর আগের না হলেও নিঃসন্দেহে অনেক প্রাচীন। কারণ মন্দিরটির একটি প্রাচীর-লেখ হতে জানা
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org