________________
উত্তপ্ত শিলাখণ্ডের ওপর দাঁড়িয়ে। সাধারণ ভিক্ষুক কি উন্মাদ ভেবে কত দিন কত লােক তার ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে, বিদ্ধ করেছে কাশ-শলাকায় কিন্তু কখনও তিনি তার প্রতিবাদ করেন নি কি নিষেধ সামান্য ভৎসনা। সে সমস্তই তিনি অবিচলিত ভাবে সহ্য করেছেন। এমন কি কখনাে চেষ্টাও করেন নি আমি নির্দোষ সে কথা প্রমাণ করবার। শুধু তাই নয়। বৌদ্ধ সাহিত্যে যাকে ‘মারে’র অত্যাচার বলে অভিহিত করা হয়েছে সেই দৈবসৃষ্ট উপসর্গকেও তিনি হাসি মুখে সহ্য করেছেন। সেই উপসর্গ কতদিন তঁাকে প্রলোভিত করেছে, কতদিন তার দেহে রােগ-যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে কিন্তু মহাবীরের কখনাে এতটুকু সময়ের জন্যও আসন বিচ্যুতি হয় নি। শেষে উপসর্গ-সৃষ্টিকারী দেবতাও পরাস্ত হয়ে ফিরে গেছেন। এভাবে দেহবােধকে সম্পূর্ণ নির্জিত করে একদিন যখন তিনি দু’দিনের উপবাসের পর ঋজু বালুকা তীরে জম্মীয় গ্রামের বাইরে এক শাল বৃক্ষের নীচে ধ্যানে বসেছিলেন সেই সময় সহসাই তার প্রকাশের আবরণ ক্ষয় হয়ে গেল। তিনি কেবল-জ্ঞান লাভ করে জিন অহং কেবলী সর্বজ্ঞ ও সর্বদর্শী হলেন। | মহাবীর ৩০ বছর বয়সে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেছিলেন। তারপর ৪৩ বছর বয়স হতে সুরু হল তার তীর্থঙ্কর জীবন। যে মধ্যমা। পাওয়ায় তিনি নির্বাণ লাভ করেন, সেই মধ্যমা পাওয়ায় তিনি এসেছিলেন কেবলী হয়ে প্রথম ধর্মদেশনা দিতে। সেদিন মধ্যমা পাওয়ায় সােমিলাচার্য নামে এক ব্রাহ্মণ এক মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেছিলেন। কিন্তু মহাবীরের উপস্থিতির এমনি আকর্ষণ যে লােক সেই যজ্ঞে উপস্থিত না হয়ে দলে দলে গিয়ে মহাবীরের ধর্মসভায় উপস্থিত হল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যজ্ঞে উপস্থিত ইন্দ্রভূ। ত গৌতম মহাবীরকে তর্কে পরাস্ত করে হীনমন্য করবার জন্য সশিষ্য তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। কিন্তু তার সামনে
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org