________________
জয় করা। যিনি নিজেকে জয় করেন তিনি বীর—তাদের মধ্যেও আবার যিনি সকলের অগ্রগণ্য তিনিই মহাবীর।। | বর্ধমানের শৈশব জীবনের দু’একটা নির্ভয়তার কাহিনী ছাড়া আর কিছুই জানা যায় না, তবে তিনি যে আজন্ম উদাসীন ছিলেন তা বােঝা যায় যে ভাবে ত্রিশলা সামন্তরাজ সমরবীরের মেয়ে যশােদার সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে তাকে ঘরে বেঁধে রাখতে চেয়ে ছিলেন। মহাবীরের প্রিয়দর্শনা নামে একটা মেয়েও হয়েছিল। তবে ভিন্ন মতে তিনি আজন্ম ব্রহ্মচারী ছিলেন, বিবাহই করেন নি। কিন্তু সে যা হােক, তিনি মাতাপিতার কষ্ট হবে বলে তঁাদেব জীবিত কালে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন নি। এমন কি তাদের মৃত্যুর পরও জ্যেষ্ঠ নন্দীবর্ধনের আগ্রহে আরাে দু’ বছর ঘরে রয়ে গেলেন। তবে সে দু’বছর তিনি ঘরে থেকেও শ্রমণের মতাে কঠিন জীবন যাপন করেছেন ও কল্পতরু হয়ে তার ব্যক্তিগত সমস্ত ঐশ্বর্য অৰ্থীপ্রত্যর্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। সে বিতরণ আবার এমনি যে যখন তিনি সম্পূর্ণ অকিঞ্চন হয়ে একটিমাত্র দেবদূষ্য বস্ত্র কাঁধে ফেলে গৃহ হতে অভিনিষ্ক্রমণ করে এসেছেন তখন আর কিছুই দেবার অবশিষ্ট নেই বলে সেই দেবদূষ্য বস্ত্রের আধখানা ছিড়ে একজন ব্রাহ্মণ প্রার্থীকে দান করলেন। বাকি আধখানাও যখন কয়েক মাস পরে ঋজু বালুকার তীর দিয়ে যাবার সময় বৃক্ষকণ্টকে আটকে গিয়ে স্কন্ধ-চ্যুত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় তখন মহাবীর। নীচু হয়ে, তা আর তুলে নেন নি। সেই হতে তিনি সম্পূর্ণ নির্বস্ত্র হলেন।
. মহাবীরের বারাে বছরের প্রব্রজ্যা জীবনের ইতিহাস যেমন বৈচিত্র্যপূর্ণ তেমনি শিক্ষাপ্রদ। এই সময় তিনি পদব্রজে বিহার, বাংলা ও উত্তর প্রদেশের কোনো কোনাে অঞ্চলে পরিভ্রমণ করেন এবং চাতুর্মাস্য ছাড়া কোথাও স্থায়ী ভাবে বসবাসে বিরত
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org