________________
অবস্থিত নয়, পাহাড়ের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান। প্রথমেই স্বর্গপুরী গুম্ফা। স্বর্গপুরী হতে ডানদিকে যে পথ গেছে তা রাণী গুম্ফা ও গণেশ গুম্ফা হয়ে ওপর দিয়ে পেছনের হাতী গুম্ফায় এসে শেষ হয়েছে। স্বর্গপুরী হতে বাঁ দিক দিয়ে যে পথটি জয়-বিজয় ও বৈকুণ্ঠ গুম্ফা হয়ে হাতী গুম্ফায় এসেছে তা এখানে পূর্বোক্ত পথের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অবশ্য আজ আর এই পথ-রেখা সবখানে সুস্পষ্ট নয়--অনেক ক্ষেত্রেই অরণ্যাচ্ছাদিত ও ভগ্ন। | স্বর্গপুরী খৃঃ পূঃ ২য় বা ১ম শতকের ও দু’টী প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। প্রকোষ্ঠ দু’টী শ্ৰমণদের শয়নােপযােগী করে নির্মিত। খারবেলপত্নী এই গুম্ফাটি নির্মাণ করান। স্বর্গপুরীতে উগত থমের ওপর অধচন্দ্রাকৃতি যে চারটি তােরণ রয়েছে তা খুবই সুন্দর। প্রত্যেক তােরণের গায়ে দুটী করে হাতী।
উদয়গিরির গুম্ফাগুলাের মধ্যে রাণী গুম্ফাই সব চাইতে বড় ও সুন্দর। রাণীর বাসের জন্য এই গুম্ফা-মন্দিরটি বিহার ও চৈত্যের অপূর্ব সমন্বয়ে নির্মিত। দ্বিতল এই গুম্ফাটির ওপরে এবং. নীচে আটটি করে প্রবেশ-পথ। ওপরে বহু-বিস্তৃত রঙ্গমঞ্চ। প্রাচীরের গায়ে কত লতা-পাতা কত কাহিনী পাথরে উৎকীর্ণ। উত্তর দিকের একটী কক্ষের ভেতরে অনেক মূর্তি। একটী প্রকোষ্ঠে সাড়ে চার ফুট প্রমাণাকার সৈনিক, হাতে বল্লম। বােধ হয় দ্বারপাল।
গণেশ গুম্ফা খৃঃ পূঃ ২য় বা ১ম শতকের এবং উদয়গিরির সব চাইতে উচু জায়গায় অবস্থিত। গুম্ফাটি দু’টী প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। সামনের দিকে একটী আচ্ছাদিত অলিন্দ। গণেশ গুম্ফার থামগুলাে চতুষ্কোণ। থামের পায়ের কাছে ও শীর্ষদেশে স্তম্ভদণ্ড। থামের শীর্ষ দেশের বন্ধনী অলিন্দের ছাদকে স্পর্শ করে আছে। গণেশ গুম্ফার প্রাচীরের গায়েও পাথরে অনেক কাহিনী উৎকীর্ণ।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org