________________
জুনাগড় হতে গিরনার যাবার পথে উপরকোট সেই প্রাচীন দুর্গ। এই দুর্গটি ১৩৫ ০ হতে ১৫৯২ পর্যন্ত বারবার আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনাে সময়েই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়নি। দুর্গের তােরণটি হিন্দু স্থাপত্য রীতির এক টী প্রাচীন নমুনা ও সেই কারণেই উল্লেখযােগ্য। দুর্গের মধ্যে বৌদ্ধ মূর্তি সম্বলিত অনেকগুলাে গুহা আছে। তাই মনে হয় এককালে এই দুর্গটি বৌদ্ধবিহার ছিল এবং এখানে অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু বাস করতেন।
উপরকোট হতে গিরনারের দিকে আরাে এগিয়ে গেলে বাগেশ্বরীর প্রাচীন মন্দির। এই বাগেশ্বরী মন্দিরের সামান্য আগে একটী বৃহৎ পাথরে অশােকের চতুর্দশ শিলালেখটি উৎকীর্ণ। ওই পাথরের গায়েই আবার রুদ্রমন (১৫০ খৃষ্টাব্দ) ও স্কন্দগুপ্তর (৪৫৪ খৃষ্টাব্দ) শিলালেখ বর্তমান। এই শলালেখ ছাড়িয়ে গিরনারের প্রায় কাছাকাছি এলে স্বর্ণরেখা নামে একটা ছােট নদী। এই নদীর জলকেই আবদ্ধ করে দামােদর কুণ্ড তৈরী করা হয়েছে। এই দামােদর কুণ্ডের জলে অস্থি বিসর্জন করা হয়। এখানকার জলের এমনি গুণ যে সেই জলের স্পর্শে অস্থিও গলে জলে পরিণত হয়। কুণ্ডের পাশেই রাধা-দামােদরের মন্দির। মন্দিরের পরে রেবতীকুণ্ড ও লম্বা হনুমান। এই লম্বা হনুমান হতেই প্রকৃতপক্ষে গিরনারের চড়াই। এখানে জৈন মন্দির ও ধর্মশালা আছে।
| গিরনারের চড়াই কম করেও দু’হাজার ফুটের ওপর। যাঁরা ১০,০০০ সিড়ি ভেঙে ওপরে ওঠতে না পারেন তারা ডুলি করতে পারেন। শত্ৰুঞ্জয়ের মতাে এখানেও ডুলি পাওয়া যায়। | নীচের অধিত্যকা হতে মাইল দুই ওপরে জৈনদের বিখ্যাত মন্দিরগুলাে। বৃহৎ মন্দিরটি অরিষ্টনেমির। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতকে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। ১৯৫ ফুট দীর্ঘ ও ১৩০ ফুট প্রস্থ প্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত ১০০ ফুট দীর্ঘ ও ৬০ ফুট প্রস্থ মন্দিরটি
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org